তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা, গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ৪
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৯ AM , আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৬ AM
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফাতেমা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেন। ফাতেমা বেগমের ভাইয়ের দেওয়া অভিযোগে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন- নিহতের ছেলে মো. হিমেল (২৫), মেয়ে সিমিকা, পুত্রবধূ জান্নাত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের হাপানিয়া ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তার আগের দিন সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১০টায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ব্যাপারে নিহত ফাতেমা বেগমের বড় ভাই ইসমাইল হোসেন রামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে স্বামী, ছেলেসহ ঢাকার সূত্রাপুর থানাধীন কলতাবাজার এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তিন বছর আগে তার ছেলে হিমেল বিয়ে করে। এরপর থেকে পুত্রবধূকে নিয়ে স্বামী ও ছেলের সঙ্গে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্বামী ও ছেলেসহ ফাতেমা বেগমকে কয়েকবার মারধরও করেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে ফাতেমা বেগমকে ছেলে, তার স্বামী, পুত্রবধূসহ ব্যাপক মারধর করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৯টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় তিনি মারা যান। পরে তারা কৌশলে লাশ রামগঞ্জে নিজ বাড়িতে এনে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ৪ জনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে ফাতেমা বেগমের স্বামী পলাতক থাকায় এবং আত্মীয়-স্বজন কেউ কথা বলতে রাজি না হওয়ায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারি জানান, নিহত ফাতেমা বেগমের ভাই ইসমাইল হোসেনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঢাকার সূত্রাপুর থানাধীন হওয়ায় আটককৃতদেরকে সূত্রাপুর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।