সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত কেটু মিজান ও সেই নারী গ্রেপ্তার

কেটো মিজান ও গোলাপী
কেটো মিজান ও গোলাপী  © টিডিসি

গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় জড়িত কেটু মিজান, স্বাধীন এবং সিসিটিভি ফুটেজে দেখা সেই নারী গোলাপী বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, কেটু মিজান ও গোলাপী স্বামী-স্ত্রী। তারা দীর্ঘদিন ধরে হানিট্র্যাপের ফাঁদে ফেলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের সর্বস্ব লুট করা চক্রের সঙ্গে কাজ করছিলো।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার ৪ গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপী, মো. স্বাধীন ও আল–আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন, সাংবাদিক হত্যার ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হয় এবং এরপর তিনটি দল পৃথক এলাকায় অভিযান চালায়। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীন এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে আল–আমিনকে আটক করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে দায়িত্ব পালনের সময় আরেকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার এ ঘটনায় উঠে এসেছে কয়েকজন চিহ্নিত অপরাধীর নাম কেটু মিজান, শাহজাহান, বুলেট, সুজন ও স্বাধীন; যারা স্থানীয়ভাবে অপরাধী হিসেবে পরিচিত হলেও বরাবরই থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাসন থানা পুলিশ বলছে, মোট ৫ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো সময় তাদেরকে ধরা হবে।

তথ্যমতে, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। হত্যার পরপরই তাঁর বড় ভাই সেলিম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ বলছে, এই মামলার ভিত্তিতে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence