বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর বাসশ্রমিকদের হামলা, আহত ৫
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৭:৩৮ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ০৭:৫৭ PM
মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর বাসশ্রমিকদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধীর অন্তত ৫ নেতা আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে রাজৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোপালগঞ্জ জেলার ছাগলছিড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন— মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর ইসলাম (২৩) ও কিরণ আক্তার (২৬)। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়া ইসলাম, মিথিলা ফারজানা।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহত ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে জুলাইয়ে হতাহতের বাড়িতে মৌসুমি ফল দিয়ে মাদারীপুরের রাজৈরের কাশিমপুর থেকে শহরে ফিরছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ফেরার পথে টেকেরহাট উত্তরপাড়ে একটি রেস্টুরেন্টে চা-নাশতা খাওয়ার জন্য যান তাঁরা। এ সময় রেস্টুরেন্টের সামনে পার্কিং করা মিজান পরিবহনের স্টাফরা বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী সদস্যদের ইভটিজিং করেন। এর প্রতিবাদ করায় বাসের শ্রমিক ও ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে টেকেরহাট উত্তরপাড় সীমান্তবর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে তাঁদের ওপর হামলা চালান বাসের শ্রমিক ও তাদের লোকজন। এতে আহত হন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক আশিকুর রহমান হৃদয়, যুগ্ম সদস্যসচিব আশিকুর তামিম আশিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মিথিলা ফারজানা নীলা, কিরণ আক্তারসহ পাঁচজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত কিরণ আক্তার বলেন, ‘মেয়েদের ওপর এভাবে হামলা চালাবে, এটা বুঝতেও পারিনি। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এই ঘটনা ঘটেছে। এর বিচার চাই।’
মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অখিল সরকার বলেন, ‘মারামারির অভিযোগ নিয়ে পাঁচ ছাত্র হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলার সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যারা এই হামলা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সিসিটিভিতে তার প্রমাণ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দাবি জানাচ্ছি।’
এ ঘটনায় মিজান পরিবহনের সংশ্লিষ্ট কারোই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।