প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল
- আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ PM , আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫, ০৬:২০ PM
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে চলছে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও হাসপাতালের ব্যবসা। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে উপজেলার অলিগলি জুড়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। অথচ এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা চোখে পড়ছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১৮টি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতাল সরকারি অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ কর্মী ও নিুমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে, যেখানে প্রতিদিন রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই। চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক অনিয়ম, পরীক্ষার রিপোর্টে গরমিল, ভুল চিকিৎসা, অপারেশনের নামে হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানে রোগীদের স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
একজন রোগীর স্বজন অভিযোগ করে বলেন, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমার মায়ের ডায়াবেটিস রিপোর্ট ভুল দিয়ে ভয় দেখিয়ে ইনসুলিন চালিয়ে দেয়। পরে আরেক জায়গায় পরীক্ষা করালে ভিন্ন রিপোর্ট আসে। আমরা তো সাধারণ মানুষ, বুঝতেই পারি না কখন ঠকে যাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (পরিবার ও পরিকল্পনা) ডা. মাহতাব হোসেন জানান, কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে এবং সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, আমরা এখনো অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, যখন অন্তত ১৮টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীনভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে, তখন নিয়মিত তদারকি কোথায়? কেবল অভিযোগের অপেক্ষায় থেকেই কি দায়িত্ব শেষ হচ্ছে?