স্ত্রীর গতিবিধি দেখতে বোরখা, ধরা খেয়ে থানায় স্বামী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৪১ PM , আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩৩ PM
স্ত্রীকে অতিরিক্ত সন্দেহ করতেন মাহমুদুল। সন্দেহের কারণেই তার উপর নজরদারি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু বোরখা পড়ে স্ত্রীর উপর নজরদারি করতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গিয়েছেন। স্ত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্রে বোরখা পরে প্রবেশ করায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে তাকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, সাত বছর প্রেমের পর জুলেখা খাতুনকে (২৫) বিয়ে করেন মাহমুদুল হাসান (২৮) । এরপর বেশ ভালোভাবেই চলছিলো তাদের সংসার। হঠাৎ একটি মোবাইল ফোনের কলে ঘটে যায় বিপত্তি। স্বামী মাহমুদুল সন্দেহের চোখে দেখতে থাকেন স্ত্রী জুলেখাকে। স্ত্রীর অনার্স মৌখিক পরীক্ষা থাকায় একসঙ্গে ট্রেনচেপে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ শহরে আসেন। রিকশায় করে স্ত্রীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ গেটে নামিয়ে দেন।
এরপর স্ত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকলেও সেখানে কী করছেন, কার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছেন এসব সন্দেহ হওয়ায় বাইরের দোকান থেকে বোরকা কিনে ছদ্মবেশে সেখানে প্রবেশ করেন মাহমুদুল।কিন্তু বোরকা পরে পুরুষের বাথরুম থেকে নারী বের হওয়ায় সন্দেহ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের। খবর দেয়া হয় পুলিশে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসে আবিষ্কার করে বোরকা পরিহিত নারী নয়, পুরুষ। পরে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য নিজের মুখেই পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেন মাহমুদুল হাসান।
আটককৃত মাহমুদুল হাসানের (২৭) বাড়ি শেরপুর জেলায়। তিনি জামালপুরের আইবিএ কলেজে করণিক পদে চাকরি করেন।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল জানান, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বোরকা পরে ছদ্মবেশে কলেজে প্রবেশের ঘটনাটি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান।
এরপরও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে তার স্ত্রী জুলেখা খাতুনের সঙ্গেও। তারা দু’জনেই আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছে। এরপর তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।