গণঅভ্যুত্থানে
ভালুকায় তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ AM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ AM

ময়মনসিংহের ভালুকায় জুলাই আন্দোলনে তোফাজ্জল হোসেন (২২) নামে এক শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ৭ মাস পর মামলা হয়েছে।এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাতে ভালুকা মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন মো. শরীফ মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবীর।
জানা গেছে নিহত তোফাজ্জল নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। অন্যদিকে মামলার বাদী শরিফ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাটির মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি মিছিলে যোগ দেন তোফাজ্জল। সন্ধ্যায় শ্রীপুরের জৈনা বাজার থেকে একটি মিছিল ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেটি প্রতিহত করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন তারা। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শ্রীপুরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গত বছরের ৬ আগস্ট কেন্দুয়ার নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
মামলার বাদী শরিফের মুঠোফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আমি অংশগ্রহণ করি এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। ভিকটিমের (নিহতের) মা ও তার পরিবার অত্যন্ত গরিব। তাই তারা মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আমি ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাদী হয়েছি।’
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার জন্য পরিবারের সঙ্গে আমরা অসংখ্যবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা মামলা করতে সম্মত হয়নি। শুক্রবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এখন বিধি মোতাবেক সব পদক্ষেপ নেব।’