‘ডাকাতদলকে’ ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাওয়ের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ AM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ AM

বরিশালের মুলাদী থানায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ ডাকাত সদস্যকে ছাড়িয়ে নিতে দলবল নিয়ে থানা ঘেরাও করার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা আজাহার মুন্সির ছেলে মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮), ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের কাণ্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আকন (৪২) এবং একই উপজেলার নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ বেপারীর ছেলে সায়েম বেপারি (২২)।
জহিরুল ইসলাম বলেন, ডাকাত সদস্যদের ছাড়িয়ে নিতে লোকজন নিয়ে থানায় এসেছিলেন সোহেল রাঢ়ি। তাদের দাবি গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাত নয়, ষড়যন্ত্রের শিকার। বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নূরে আলম বেপারী তাদের ফাঁসিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে নৌপুলিশ বাদী হয়ে আটক ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অস্ত্র মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছে যে, ডাকাতদের আটক করে নৌপুলিশের কাছে দিয়েছে গ্রামবাসী। ডাকাতির মালামালও উদ্ধার হয়েছে। মামলা করেছে নৌ থানা পুলিশ। এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। আদালতে আইনি লড়াই চালানোর পরামর্শ দিয়েছি। তারপর তারা চলে গেছেন’।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ী বলেন, যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে মহিউদ্দিন ওরফে পিস্তল মহিউদ্দিনকে নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে বাকি যে চারজন আটক হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ইউনিয়ন যুবদলের নেতাও আছেন। তাদের কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে। তারা কোনোভাবেই ডাকাত নয়। তাছাড়া যেই এলাকায় ঘটনা সেখানেও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেখানকার কোনো বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। নৌপুলিশ, আওয়ামীপন্থি ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলমের দেওয়া খবরে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, আমি থানা ঘেরাও করতে যাইনি। বাবুগঞ্জের সন্তান হিসেবে স্থানীয় মুরব্বিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে গিয়েছিলাম।
তবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা ভোররাতে পন্টুন ও ভেকু নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কোথা থেকে এলো সে বিষয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।