চবি টেন্ডার দুর্নীতির মামলা 

হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন

জি কে শামীম
জি কে শামীম  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণ (২য় পর্যায়) কাজ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিব‌রিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ জামিন দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। দুদকের আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলী হায়দার।

২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জি কে শামীমসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম জেলা-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দরপত্রের নথি জালিয়াতি করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে নিকেতনের নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে জি কে শামীমকে আটক করে  র‌্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী। অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী)  ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে আদালত তার জব্দকৃত সমস্ত ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন।

এছাড়া ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ