শ্রমিকদের হামলায় ভিক্টোরিয়া কলেজের ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থী
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শাসনগাছা বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ১৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চার ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ১১ জন ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতরা হলেন— পরিসংখ্যান বিভাগের ২য় বর্ষের শাকিল, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের হাসান ও আরাফাত, বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের হাবিব, অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের ইমরান, ইসলামের ইতিহাস ৩য় বর্ষের কাহহার, গণিত ৪র্থ বর্ষের রতন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষের জামশেদ, ব্যবস্থাপনা ২য় বর্ষের আরমান, অর্থনীতি ৪র্থ বর্ষের নিলয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২য় বর্ষের সাকিব ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স শেষ পর্বের সানি।  

আহত আব্দুল কাহহার জানান, সোমবার বিকেলে রাস্তা পারাপারের সময় আমাকে একতা নামের বাস ধাক্কা দেয়। এতে আমি আহত হওয়ায় চালককে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলি। এঘটনায় আমি ও আমার এক বন্ধুর ওপর ক্ষিপ্ত হন বাসচালক ও হেলপাররা। আমাদের বাসস্ট্যান্ডে আটকে রাখেন তারা। ঘটনাটি সহপাঠীদের জানালে তারা আমাদের উদ্ধার করতে আসে। এদিকে বাসচালক ও হেলপাররা ছাত্রদের প্রতিহত করতে রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। ছাত্ররা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ওই আহত ছাত্রদের আনতে গেলে অতর্কিত হামলা করেন তারা। এসময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় একটি চক্র।  

জানা গেছে, নয় জন ছাত্র কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। একজন হাসপাতালে ভর্তি। পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও পাঁচ জন।

আরও পড়ুন: ‘ব্যাঙের লাফ-হাঁসের ডাক’ দেয়া ভিডিও নিয়ে যা জানাল এনসিটিবি

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের ১১ শিক্ষার্থী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জনকে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে যেতে পারবেন।’

একতা বাস সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলায় আমার বাসচালকের অবস্থা খারাপ। একজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখেনি। তাকে চান্দিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

কলেজের উপাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি গোস্বামী বলেন, ‘আমাদের ১৫ ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের মাথায় ১২টি সেলাই লেগেছে। কারও হাত ভেঙেছে, কারও পা। আমাদের ছেলেরা রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। অধ্যক্ষ হাসপাতালে ভর্তি। তাই আসতে পারেননি। কাল অধ্যক্ষ স্যারসহ আলোচনা করে কী করা যায় ব্যবস্থা নেবো।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, শাসনগাছায় একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ