বরিশালে ড্যাফোডিলসহ একাধিক কোচিং সেন্টারকে জরিমানা
- বিএম কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৩, ০৬:১৩ PM , আপডেট: ০৮ মে ২০২৩, ০৬:১৮ PM
সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে কোচিংপরিচালনা করায় ড্যফোডিল কোচিংসহ একাধিক কোচিং সেন্টারকে জরিমানা করা হয়। গতকাল রবিবার (৭ মে) বিকেল ৪ টায় নগরীর বগুড়া রোডে সদর গার্লস স্কুলের সামনে কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময়ে কোচিং সেন্টারের খোলা থাকায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারকে আর্থিক জরিমানা করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে কোন কোন কোচিং সেন্টারের ভিতরে ছাত্রছাত্রী রেখে বাহির থেকেই তালাবদ্ধ করে দেয়।
তবে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দরজা খুলতে বাধ্য হন কোচিং মালিকরা। এ সময় ড্যাফোডিল কোচিং সেন্টারের স্বত্তাধিকারী নাহিদ আল বাসারকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় নিজেকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার পরিচয় দেন ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে এবং সে জানায় কোচিং সেন্টারে পরিচালক।
ডাক্তারি সনদ সহ যাবতীয় তথ্যাদি উপস্থাপন না করতে পারায় আটক করা হয় নাহিদ আল বাসারকে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাগজাদি দেখানোর পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষকদের আর্থিক দন্ড দেওয়া হয়। কিন্তু অভিভাবকদের কেউ কেউ জানান, বাচ্চাদের পরীক্ষার সিলেবাস শেষ না হওয়ায় পড়াচ্ছেন তারা। তাদের রিকোয়েস্টে কেউ কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রেখে পাঠদান করচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইন অমান্য করে আমরা কিছুই করতে চাই না। কিন্তু সিলেবাস শেষ করতে না পাড়ায় পড়াতে হচ্ছে তবে পরবর্তীতে আর এইরূপ ভূল হবে না বলে জানান ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মন্দিপ ঘরাই (শিক্ষা ও আইটি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার খোলা রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি আদেশ অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা চলাকালিন সময় সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার ঘোষনা দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় এই আদেশ অমান্য করা হয়। তাই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইন ভঙ্গ কারীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।