‘আমি খুব বেশি খুশি নই’, জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর শান্ত
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১২:৫৩ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ PM
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরাজয়ের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হারের পর টাইগারদের সামনে কেবল সিরিজ বাঁচানোর সুযোগ ছিল। চট্টগ্রামে সেই প্রত্যাশিত লক্ষ্য দুইদিন হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকতা। তবুও এই জয়ে খুব বেশি খুশি না টাইগার দলপতি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি আসলে খুব বেশি খুশি না। দুই ম্যাচের কথা যদি বলেন, এর থেকে ভালো ক্রিকেট খেলা উচিৎ ছিল। সিরিজটা জেতা উচিৎ ছিল আমাদের। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা কামব্যাক করেছি।’
সিরিজে নিজেদের প্রাপ্তির জায়গা উল্লেখ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় তাইজুল (ইসলাম) ভাই প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের পর এই ম্যাচে যেভাবে কামব্যাক করেছেন। ওপেনিং জুটি সাদমানের (ইসলাম) ভালো ১০০, (এনামুল হক) বিজয় এতদিন পর দলে আসার পর সুন্দর ব্যাটিং করেছে, যদিও বড় রান হয়নি। ওপেনিংয়ে এই জায়গাটা অনেক ভালো লেগেছে। এখানে ধারাবাহিক হতে হবে। বেশি যেটা ভালো লেগেছে (তানজিম হাসান) সাকিবের ব্যাটিংটা, আজকে অনেক ভালো খেলেছে। টেইল-এন্ডারে অতীতে দেখেছি তাইজুল ভাই অনেক বল ফেইস করেন, আজকে সাকিবের ব্যাটিংটা দারুণ ছিল।’
স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামেরও প্রশংসায় শান্তর মন্তব্য, ‘৬ ম্যাচ পর জিতলাম আজকে? (ঘরের মাঠে টানা ৬ ম্যাচ পর) অবশ্যই দারুণ খেলেছে আজকে। সোহেল স্যার যেভাবে সাহায্য করেন সবাইকে। দলে থাকলে সবাইকে সাহায্য করতে সুবিধা হয়। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটারদেরকেও সাহায্য করে। পজিটিভ ভাইভ ছিল। খুবই ভালো ব্যাপার ছিল।’
স্পিনারদের ওপর স্বস্তি প্রকাশ করেন শান্ত, ‘আমার কাছে মনে হয় স্পিনাররা ভালোই করেছে। সবসময় ভালো করে। দুয়েক দিন ঊনিশ-বিশ হতে পারে। ১০-১৫ বছর ধরে স্পিনাররাই ভালো করছে। বাড়তি কোনো চাপ আমি দিতে চাই না। পেসাররা ভালো করায় স্পিনারদের ওপর চাপ কমেছে। আমি স্পিনারদের নিয়ে একদমই চিন্তিত না। তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে।’
উল্লেখ্য, রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে কেবল এক ইনিংসে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের ২২৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ২১৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি (১২০) ও মিরাজের অনবদ্য ১০৪ রানের সুবাদে ৪৪৪ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের বিষাক্ত অফস্পিনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা। দলীয় তিন অঙ্কের আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষমেশ ১১১ রানে থামে রোডেশিয়ানরা। ফলে, ইনিংস ব্যবধান ও ১০৬ রানে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা টেনেছে বাংলাদেশ।