কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ইকসাসের চেয়ারম্যানের আহ্বান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ PM
সম্প্রতি ঢাকার কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে মানবিক সংকটে পড়ায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক কাউন্সিল ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড জাস্টিসের (ইকসাস) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস। জরুরি সহায়তা নিয়ে ছুটে গিয়ে তিনি সমাজের সক্ষম মানুষদেরও এ বিপর্যস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ইকসাসের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরে আলম সরকারের নেতৃত্বে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রভাষক হামিদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের একটি দল কড়াইল বস্তিতে গিয়ে প্রায় অর্ধশত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। বিতরণ করা খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, হলুদ, মরিচ, লবণ প্রভৃতি।
ইকসাসের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ সহায়তা যদিও কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। তবে এর পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। এ জন্য ইকসাস সমাজের বাকি অংশের কাছে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। বিশেষত, যারা মানবিক কারণে এমন দুর্দিনে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তাদের আরও সাহায্য করার অনুরোধ জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, এ মুহূর্তে যারা সহায়তা দিতে সক্ষম, তাদের সামনে এগিয়ে এসে এই দুঃখী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। একে অন্যকে সহায়তা করলেই আমরা বৃহত্তর পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস বলেন, ‘এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব। আল্লাহর রহমতে যদি আমরা তাদের সাহায্য করি, আমাদেরও সঠিক পথের নির্দেশনা পাওয়া যাবে। মানবিক কাজের মাধ্যমে সমাজে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহযোগিতা বাড়ানো সম্ভব।’
এ ছাড়া ইকসাসের পক্ষ থেকে সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, অন্ততপক্ষে এই কর্মকাণ্ডের প্রচার ও শেয়ার করে যেন এই মানবিক সাহায্যের বার্তা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে করে আরও বেশি মানুষ এই দুঃসময়ে সহায়তার হাত বাড়াতে পারে।
ত্রাণ বিতরণ শেষষে মহান আল্লাহর কাছে বস্তিবাসীর সার্বিক কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়।