স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ AM
গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর–কাশিয়ানীর আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার এক নির্বাচনী প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আহত ওই ব্যক্তির নাম মো. শাহ আলম। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মারধরের পাশাপাশি সেলিমুজ্জামানের সমর্থকরা কাবির মিয়ার নির্বাচনী হলফনামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপালগঞ্জ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় শাহ আলম গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তার পক্ষে তিনি গত মঙ্গলবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। বুধবার বিকেলে হলফনামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র টাইপিংয়ের জন্য গোপালগঞ্জ আদালত চত্বরে একটি কম্পিউটারের দোকানে যান। কাজ শেষে কাগজপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় কোর্ট গেটের সামনে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি লেলিন সিকদার, জেলা যুবদলের বহিস্কৃত সদস্য সচিব পলাশসহ ১৫ থেকে ২০ জন তার ওপর হামলা চালায় বলে তিনি দাবি করেন।
শাহ আলম বলেন, লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় এবং সেলিমুজ্জামানের বিপক্ষে নির্বাচন করার কারণে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এতে তার হাত-পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়। মারধরের পর তাকে সদর থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাকে গ্রেপ্তার না করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে যেতে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে দুর্ঘটনার কথা বলে চিকিৎসা নেন। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এভাবে সহিংসতা হলে নির্বাচন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে—সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সরোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি তারা শুনেছেন। ভুক্তভোগী বা তার পক্ষে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।