চৌগাছায় বিদ্যালয়ের ১০ মেহগনিগাছ গোপনে বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- যশোর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ PM
যশোরের চৌগাছায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০টি মেহগনিগাছ গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বরূপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের অজ্ঞাতে রাতের আঁধারে এসব গাছ গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক সময়ে স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বহুতল বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ভবন নির্মাণের অজুহাতে প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে ১০টি মেহগনিগাছ বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকার বেশি। রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের যোগসাশজে তারই আপন ভাই আব্দুল মজিদের কাছে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, গাছের টাকা কোন আত্মসাৎ করা যাবে না। দ্রুতই গাছের যাবতীয় টাকা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও চৌগাছা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহি বিশ্বাসের ছেলে জয়নুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক নতুন বিল্ডিংয়ের অজুহাতে ১০টি মেহগনি গাছ বিক্রি করেছেন। যেটা স্কুলসহ এলাকার কেউই জানেন। প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও অবগত নন। গাছের টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেয়া না হলে এলাকাবাসীকে নিয়ে বিক্ষোভ হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক গাজীর ছেলে আব্দুল মজিদ জানান, প্রধান শিক্ষক সবার চোখে ধুলা দিয়ে গাছগুলো গোপনে বিক্রি করেছেন। রাতের বেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। যেটা খুবই খারাপ হয়েছে। ফান্ডে টাকা জমা না দিলে কোন রকম ছাড় হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিনুর রহমানের ছেলে রানা আহমেদ জানান, প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে গাছ বিক্রি করতে পারেন না। অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে তিনি এটা করেছেন। গ্রামবাসীকে সঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘গাছ কাটা হয়েছে সঠিক। এর বেশি আমি কিছুই বলব না।’
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও চৌগাছা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে তাকেই কিছুই জানানো হয়নি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।