দিনাজপুরের আরও এক যমজের মেডিকেলে চান্স
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ PM
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ২নং ইশানিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের দুই যমজ বোন মাখনুন আক্তার ও মুসফিকা নাজনিনের পর এই জেলার আরও এক যমজ এবারের মেডিকেল ভর্তিতে চান্স পেয়েছেন। তারা হলেন- মুতমাইন্না সারাহ এবং মুমতাহিনা সামিহা। সারাহ ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে এবং সামিহা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।তাদের এই সাফল্যে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নে পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার।
সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিরামপুর বিএম কলেজের প্রভাষক সাজ্জাদ হোসেন এবং দিনাজপুর জেলা স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক তাহারিমা আকতার দম্পতির যমজ কন্যা সারাহ ও সামিহার পড়াশোনার গল্প যেন একে অপরের প্রতিবিম্ব। চেহারা কিংবা আচরণে যেমন মিল, তেমনি মিল তাদের শিক্ষা-যাত্রাতেও। দিনাজপুর গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল ও দিনাজপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনার সময় এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় সব বিষয়ে তারা জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে দুই বোন বলেন, পড়াশোনার ক্ষেত্রে তারা কখনো অতিরিক্ত চাপ বা দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার পথে যাননি। ১৮-২০ ঘণ্টা টানা পড়াশোনার বদলে নিয়ম মেনে, মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি বিষয় বুঝে পড়াই ছিল তাদের কৌশল। ক্লাসে কখনো অনুপস্থিত না থাকা, শিক্ষকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও নোট নেওয়া এসবই ছিল তাদের নিয়মিত অভ্যাস। বাসায় ফিরে সেগুলো আবার পড়ে নেওয়াই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি বলে মনে করেন তারা।
মেয়েদের অর্জনে ভীষণ খুশি মা তাহারিমা আকতার। তিনি বলেন, তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে তাহমীদ বিন সাজ্জাদ বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর এবার যমজ দুই মেয়েও মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ায় পরিবারে আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে।
বাবা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেয়েদের মধ্যে এক ধরনের সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। কেউ পরীক্ষায় এক-দুই নম্বর কম পেলে পরের পরীক্ষায় তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত অন্যজন। এই প্রতিযোগিতাই তাদের এগিয়ে নিয়েছে। এইচএসসি শেষ হওয়ার পর মেডিকেল প্রস্তুতিও তারা একসঙ্গে করেছে, একে অপরকে সহযোগিতা করেছে। তার ভাষায়, “বাবা হিসেবে মেয়েদের এমন সাফল্য দেখা সত্যিই গর্বের এবং আবেগের।”