স্কুলের অফিস সহকারী বাবার যমজ মেয়ের মেডিকেল চান্স, আনন্দে ভাসছে রামপুর গ্রাম

যমজ দুই বোন
যমজ দুই বোন  © সংগৃহীত

এ বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছেন দিনাজপুরের দুই যমজ মাখনুন আক্তার ও মুসফিকা নাজনিন। মাখনুন আক্তার চান্স পেয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। আর মুসফিকা নাজনিনের সুযোগ হয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। মশিউর রহমান ও নাজমুন নাহার দম্পতির দুই মেয়ের এমন সাফল্যে পরিবার ও এলাকায় বইছে আনন্দের জোয়ার।

জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৩ মার্চ দুই বোন মাখনুন আক্তার ও মুসফিকা নাজনিনের জন্ম। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। পরে সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ–৫ অর্জন করেন। যমজ দুই বোনের বাবা মশিউর রহমান মুরারিপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।

ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল জানিয়ে মাখনুন আক্তার বলেন, মা-বাবার সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হতো না। বড় বোন সবসময় আমাদের পাশে ছিল। আর বাবারও ইচ্ছা ছিল আমি যেন ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে পারি।

মুসফিকা নাজনিন বলেন, ‘আমরা দুই বোনই একসঙ্গে মেডিকেলে চান্স পেয়েছি, এতে আমরা খুব আনন্দিত। ভবিষ্যতে একজন ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।

মা নাজমুন নাহার বলেন, আমার দুই মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে, এতে আমি আনন্দিত। বাবা মশিউর রহমান বলেন, আমার তিনটি মেয়ে, কোনো ছেলে নেই। আমারও ইচ্ছা ছিল মেয়েরা ডাক্তার হবে। আল্লাহ তা'আলা সেই ইচ্ছা কবুল করেছেন। তারা যেন ভালো ডাক্তার হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করতে পারে এই দোয়া চাই।

এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে যমজ দুই বোনের এই কৃতিত্ব শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং গ্রামীণ সমাজে মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রযাত্রার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence