জামালপুরে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন
- জামালপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৮ PM
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বুধবার (১৯ নভেম্বর) কাফনের কাপড় পরে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে নামেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এমন প্রতীকী ও কঠোর আন্দোলন স্থানীয় রাজনীতিতে বিরল নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত শহরের বটতলা তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় মোড় অবরোধ করে তারা অনশন শুরু করেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকার, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দানু, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তারা, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক ডেভিটসহ স্থানীয় নেতারা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিম দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুরের মানুষের অধিকার, নদী শাসন, নদী ভাঙন রোধ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং অবকাঠামো নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়, তবুও তিনি দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তাদের দাবি, জনপ্রিয়তা, সততা ও সাংগঠনিক দক্ষতার দিক দিয়ে এ এস এম আব্দুল হালিমই ইসলামপুরে বিএনপির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখ। তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে।
অন্যদিকে, বক্তারা অভিযোগ করেন বর্তমান মনোনীত প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচন ছাড়া ইসলামপুর এলাকায় খুব কমই দেখা গেছে তাকে। তিনি স্থানীয় আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেননি এবং সাবেক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
নেতারা স্পষ্টভাবে জানান, সুলতান মাহমুদ বাবুর মনোনয়ন বাতিল করে এ এস এম আব্দুল হালিমকে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কাফনের কাপড় পরে অনুষ্ঠিত এই প্রতীকী কর্মসূচিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। এর আগে ১৫ নভেম্বর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং দিনব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।