ভাগবাটোয়ারা না হওয়ায় পাবনায় বিএডিসির খড় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৩ PM
স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারা না হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সরকারি লাখ লাখ টাকা মূল্যের খড় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ স্থানীয় গো-খামারিরা। তবে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের দাবি জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য খড়গুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
বিএডিসি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএডিসি) গবেষণার জন্য তিন শতাধিক একর জমিতে ধান চাষ করা হয়। এসব ধান কাটার পর বিপুল পরিমাণ খড় হতো। এসব খড় পরে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিলামে বিক্রি হয়। প্রতিবছর ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
কিন্তু এবার তা করা হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা না হওয়ায় খড়গুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই আয়টা ছিল খামারের নিয়মিত আয়ের একটি স্থায়ী উৎস। পুড়িয়ে ফেলা জমির খড় আশপাশের লোকজন আবার কিছু অংশ লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন। আর মাঠের পর মাঠ ধরে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে খড়।
এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মচারীরা। তবে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বন্দ্ব ও কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে এই সব খড় পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
আর বিএডিসির আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবছর নিলাম হতো বা সমঝোতার মাধ্যমে এসব খড় একরপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু এবার স্থানীয় প্রভাবশালীরা একেকজন ৪-৫ একর করে ফ্রি দাবি করেন। কেউ আবার একর প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দিতে চান। ফলে কর্মকর্তারা নিজেদের ভাগবাটোয়ারা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এ জন্য বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিটিং করে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথমে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), টেবুনিয়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ এস এম মাহবুব-অর-রশিদ। পরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও তার দাবি, ‘উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে খড় পুড়িয়ে সার হিসেবে ব্যবহার করতে। পুড়িয়ে ফেলা খড়ের ছাই নাকি জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’