শেরপুরে পাখির বাসার আদলে দুর্গামণ্ডপ, নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের
- আরফান আলী, শেরপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৪ AM
শেরপুরের স্থানীয় মার্চেন্ট ক্লাব এবারের দুর্গোৎসবে নির্মাণ করেছে এক ভিন্নধর্মী দুর্গামণ্ডপ। বাবুই পাখির বাসার আদলে তৈরি এই মণ্ডপের মাধ্যমে প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ ও পাখি সুরক্ষার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
কার্টন, পরিত্যক্ত বাক্স, নারকেলের ছোবড়া, পাট ও কাঠের গুড়ার মতো পরিবেশবান্ধব উপকরণে সাজানো এই মণ্ডপ শহরের অন্য মণ্ডপগুলোর তুলনায় আলাদা ও আকর্ষণীয়। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হওয়ার পর থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা। আয়োজকরা আশা করছেন, পূজার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।
মার্চেন্ট ক্লাব গত ৫২ বছর ধরে ভিন্ন ভিন্ন থিমে দুর্গোৎসব আয়োজন করে আসছে। এবারের থিমের মূল লক্ষ্য— পাখি ও তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণ এবং পরিবেশ রক্ষা। মণ্ডপের প্রবেশ পথে রয়েছে পাখির পালকের নকশা, আর ভেতরে দক্ষিণ ভারতীয় স্টাইলে দেবী দুর্গার প্রতিমা। মণ্ডপের তিন পাশে কার্টন ও বাক্স দিয়ে তৈরি অসংখ্য পাখির বাসা, যেখানে শত শত কাগজের পাখি সাজানো হয়েছে। ভেতরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ মণ্ডপে এনেছে প্রাণের ছোঁয়া। রাতের বর্ণিল আলোকসজ্জা মণ্ডপকে করেছে আরও মনোমুগ্ধকর।
স্থানীয় কারিগর গৌড় ও নিতাই মালাকার দুই ভাই প্রায় তিন সপ্তাহ পরিশ্রম করে দেড় লক্ষ টাকার ব্যয়ে তৈরি করেছেন এই মণ্ডপ। তারা জানান, প্রকৃতি আমাদের মা— তাই প্রকৃতি ও পাখি সংরক্ষণই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
ক্লাবের তরুণ সদস্য রবীন্দ্র নাথ বসাক বলেন, নগর সভ্যতার কারণে পাখির বাসস্থান ধ্বংস হচ্ছে। তাই মণ্ডপের থিমের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটির সভাপতি সুজয় মালাকার জানান, মার্চেন্ট ক্লাবের থিমেটিক দুর্গামণ্ডপ সবসময়ই দৃষ্টি কাড়ে, তবে এবারের পরিবেশ ও পাখি সংরক্ষণের বার্তা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।