বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন, প্রেমিক উধাও
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৬:১০ PM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫, ১০:১২ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন হাফসা (৩০) নামে এক যুবতী। অন্যদিকে প্রেমিক আলিম উদ্দিন (৩৫) উধাও বা পলাতক। তার মোবাইল নম্বর বন্ধ। বাড়ির কেউ জানেন না তার খোঁজ।
জানা যায়, উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের প্রেমিক আলিম উদ্দিন (৩০) ইটাচকি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং প্রেমিকা হাফছা আক্তার (৩০)বহুলি গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার মেয়ে।
সরেজমিনে বুধবার (২৫ জুন) সকালে ঐ নারী প্রেমিকের বাড়ীতে গিয়ে অনশনরত অবস্থায় দেখা যায়। এর আগে গত সোমবার (২৩জুন) বিকাল থেকে প্রেমিকা অদ্য বুধবার (২৫ জুন) দুপুর পর্যন্ত প্রেমিকার বাড়িতে অনশন করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট সারোয়ার জাহান কাওসার।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা ওই নারী জানান, ১৪ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আলিম উদ্দিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন অস্বীকার করছে। মাঝে কয়েক বছর সে দেশের বাইরে থাকলেও অনলাইনে মোবাইলে যোগাযোগ ছিলো। তার অপেক্ষায় আমার বয়সও বেড়েছে । কিন্তু ঈদুল আজহার আগে দেশে আসার পর বিয়ের জন্যে বললে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন ওই নারী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান ওই নারী।
এদিকে পলাতক থাকায় এনিয়ে প্রেমিক আলিমের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হোসেন, জালাল উদ্দীন, আকলিমা বিবি জানান, ২ দিন ধরে ওই নারী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আলিমের বাড়িতে অনশন করছেন।
প্রেমিকার বড় ভাই চন্দন বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবী জানিয়ে বলেন, আমার বোন যেন সঠিক বিচারসহ প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্যে স্থানীয় এলাকাবাসী কাছে জোর দাবী জানান তিনি।
প্রেমিক আলিম উদ্দিনের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন বলেন, দু'জনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক এর আগে জানতামই না। এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। আমার ভাইকে পাচ্ছি না। মোবাইল নাম্বারও বন্ধ । আলিম উদ্দিন এই মেয়েকে মেনে নিলে আমাদের কোন সমস্যা নেই ।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার জাহান কাওছার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। ছেলে পক্ষ সমাধানের জন্যে সময় চেয়েছে।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম । লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে