ঈদুল আজহার ছুটিতে লক্ষাধিক পর্যটকের আশায় প্রস্তুত কুয়াকাটা

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত  © টিডিসি ফটো

ঈদুল আজহার ছুটিতে লক্ষাধিক পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনায় প্রস্তুত রয়েছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হওয়া সরকারি ছুটির আগেই হোটেল-মোটেলগুলোতে আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে।

হোটেল-মোটেল মালিকরা জানান, মে মাসজুড়ে অসহনীয় গরম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছিল কুয়াকাটা। অনেক হোটেলে রুম বুকিং ছিল শূন্যের কোঠায়। তবে ঈদের ছুটিকে ঘিরে সেই মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠার আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

হোটেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৪০-৫০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ১০ ও ১১ জুনের বুকিংয়ের হার সবচেয়ে বেশি। খান প্যালেসসহ বেশ কয়েকটি তারকা মানের হোটেলে ওই দুই দিনের জন্য শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী বলেন, ‘৯ থেকে ১১ জুন হবে পর্যটকদের ভ্রমণের মূল সময়। ১২ জুন পর্যন্ত কুয়াকাটায় উল্লেখযোগ্য পর্যটকের উপস্থিতি থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ বলেন, ‘আমরা লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন আশা করছি। কুয়াকাটার ২৩০টির বেশি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট প্রস্তুত। পর্যটকদের সেবা দিতে খাবার হোটেল, ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র দোকান ও ভাসমান বিক্রেতাসহ প্রায় আট হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন।’

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা নিয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায় জানান, নিয়মিত টহলের পাশাপাশি ঈদের সময় ও পরবর্তী সময়েও নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখা হবে না। এছাড়া মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলামও পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।

তবে সৈকতের কিছু অংশ সাম্প্রতিক জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্যটক ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শূন্য পয়েন্ট এলাকায় কংক্রিটের টুকরো ও বিধ্বস্ত জিও ব্যাগ অপসারণ জরুরি বলে জানান তারা। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া, অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বাস থেকে পর্যটকদের নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানানো হয়েছে।

বর্ষার উত্তাল সাগরের রূপ দেখতে উন্মুখ ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে কুয়াকাটা প্রস্তুত সর্বোচ্চ সেবা, নিরাপত্তা ও আতিথেয়তার প্রত্যয়ে।


সর্বশেষ সংবাদ