ডাব পাড়তে নিয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যা

সুধারাম থানা
সুধারাম থানা  © সংগৃহীত

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে আব্দুল হামিদ রায়হান নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের নাপিত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে রায়হান নিখোঁজ হয়।

নিহত রায়হান একই গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক আলমগীরের ছেলে এবং স্থানীয় খলিফারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপরদিকে আটক মারুফ (২৫) একই বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্র রায়হান নিখোঁজ হয়। এরপর দিন একই বাড়ির তার দূর সম্পর্কের চাচা মারুফকে পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে নিহতের স্বজনেরা। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রায়হানকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মারুফ। পরে তার ভাষ্যমতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। রায়হানকে হত্যার পরে মুঠোফোনে নিহতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মারুফ। ওই কল লিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ ঘাতক খুনিকে আটক করে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, মারুফের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করেছে বিষয়টি আমরা জানি না।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শেখ কামাল বলেন, রায়হান বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে রায়হানকে বাড়ির পাশের নাপিত বাড়ির বাগানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে আরও ৩/৪জন যুবকসহ রায়হানের চোখের ওপর ছুরিকাঘাত ও মারধর করে তাকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে চালিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা গা ঢাকা দেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা করবে নিহতের পরিবার।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence