প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা জানুয়ারিতে

শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক ও অধিদপ্তরের লোগো
শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক ও অধিদপ্তরের লোগো  © ফাইল ফটো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আয়োজন করা হতে পারে। প্রথম ধাপের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার পূর্বেই দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা আজ রোববার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছেন, প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১ ডিসেম্বর নেওয়ার পর দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর মৌখিক পরীক্ষাও শুরু করে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন দ্বিতীয় ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করা হবে।

তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন চাকরিপ্রার্থী। ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নিয়োগপ্রক্রিয়া জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী কোনো সমস্যা না হলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা শেষ করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ দ্যা ডেইলি কাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো জানুয়ারি মাসে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করার। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।’ 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ২৪ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন চাকরিপ্রার্থী। ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন।

এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশির ঢাকা বিভাগে— ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে—৪১১টি। এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১টি, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে। 

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক

সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভাগগুলোর কেন্দ্রের সংখ্যা ও প্রার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভাগগুলোয় কেন্দ্রসংখ্যা ও কেন্দ্রগুলোয় সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আগের মতো এবারও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার পর দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে। এবার বিভাগ ধরে ধরে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতেও বেশি সময় লাগবে না। তাই দ্রুত চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।


সর্বশেষ সংবাদ