বইমেলার প্রবেশপথে অর্ধশতাধিক ভাসমান দোকান, ভোগান্তির সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৫ AM , আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৫ AM

বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা চলছে। তবে মেলার দুই প্রবেশপথে অর্ধশতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকানের কারণে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মেলায় আসা বইপ্রেমীরা। এমনকি তেলে ভেজে খাবার বিক্রির বেশ কিছু দোকান থাকায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় এসব থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব দোকান পুলিশের নাকের ডগায় বসানো হয়েছে। তবে উচ্ছেদে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর সদস্যদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত এসব দোকান বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথে অন্তত ৩৫টি দোকান রয়েছে। এ গেট থেকে রমনা কালী মন্দিরের প্রবেশপথ পর্যন্ত রয়েছে আরও অন্তত দুই ডজন ভাসমান দোকান।
তারমধ্যে ভাজাপোড়ার দোকান রয়েছে ১০টি, চিকেন মমোর আটটি, ফুচকার আটটি, বিভিন্ন ফলের ভর্তার দোকান দু’টি, শরবত ও আইসক্রিমের দোকান রয়েছে চারটি। কিছু দোকানে ভুট্টা, কোমল পানীয়, শরবত এবং ফুল বিক্রি করতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক আনা নিয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের আলোচনা
ফুটপাত ও মূল সড়কের এসব ভাজাপোড়ার দোকানগুলোতে গরম কড়াইয়ের তেল বাইরে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। মেলায় আসা একাধিক দর্শনার্থী বলেন, তেলে ভাজা খাবারের দোকানগুলো নিয়ে ভয় বেশি। এগুলো পড়ে যে কেউ ঝলসে যেতে পারেন। বিশেষ করে শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সরকার আমিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের টাস্কফোর্স কমিটির একটা সভা ছিল। সেখানে পুলিশের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। আমরা তাদেরকে ভাসমান দোকান এবং সেগুলোর কারণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের অসুবিধার কথা জানিয়েছি। তাদের জরুরি ভিত্তিতে দোকানগুলো সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে তারা অ্যাকশনে যাবেন।