নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

খরা ও পানি শুন্যতায় শুকিয়ে গেছে নদী
খরা ও পানি শুন্যতায় শুকিয়ে গেছে নদী  © টিডিসি ফটো

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় খরা ও পানি শুন্যতায় শুকিয়ে গেছে নদী, যার কারণে পানির অভাবে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের ফসলি জমি। মাঘ মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা সময়মতো জমিতে বোরো রোপণ করেন স্থানীয় ছড়া, গাঙ, ডোবা, খাল ও নালার পানি সেচ পদ্ধতি ব্যবহারে। বর্তমানে নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ও রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের ফসল। ফেটে চৌচির হচ্ছে আবাদি জমি। 

নবীগঞ্জে নদীতে সেচের পানি পর্যাপ্ত না থাকায় এবং নদী শুকিয়ে যাওয়ায় চলতি বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হচ্ছে বোরো ধানের ফসল। জমি চাষ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। ফলে ফসল ভাল হলেও ধান উৎপাদনে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা সে চিন্তায় এখন কৃষকরা।

নবীগঞ্জ উপজেলার বিজনা নদীর চর জেগে উঠেছে। নদীর পাশে অনেক জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণের পর এখন পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা চিন্তিত। জমিতে লাগানো ধান বাঁচাতে মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বিজনা নদীর অনেকাংশ রীতিমত ফুটবল খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা গোপলা নদীরও। নদীর বৈরী আচরণের কারণে বিভিন্ন সময় ঠিকমত ভাল ফসল ঘরে উঠাতে পারেন না ওই এলাকার লোকজন।

নবীগঞ্জ উপজেলার প্রবহমান বরাক, কুশিয়ারা, গোপলা, বিজনা, বিবিয়ানা এখনকার বড় নদী। পাহাড় থেকে নেমে আসা বালি ও পলি জমে এ নদীগুলো ক্রমেই ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। উপজেলার ছোট বড় ৪০টির অধিক হাটবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য পড়েছে হুমকির মুখে। উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত বরাক নদী শুটকি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ নদী দিয়েই পূর্বদিকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, ভৈরবসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নবীগঞ্জের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু নদীর নাব্যতা সংকটে হেমন্তকালে উপজেলা সদরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও বাহিরের নৌযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের দেবপাড়া, গোপলা, সদরঘাট, পূর্ব দেবপাড়া, বাউশা ইউনিয়নের দেবপাড়া বাশডর জুড়ে বিশ্রিত বিজনা নদীতে নেই পর্যাপ্ত পানি। নদীর আশে-পাশে থাকা শতশত হেক্টর ফসলি জমি চাষ হয় সেচ পদ্ধতিতে কিন্তু নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পানির অভাবে ফসল নষ্টের আশঙ্কায় কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক রুশেল জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ফসল ঠিকঠাক ঘরে তুলতে পারবেন কিনা সেই আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি। হাওরে সেচ পদ্ধতি বিজনা নদীর পানি ব্যবহার করে জমি চাষ করেন। এই বছর বিজনা নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ঠিক সময়ে জমিতে পানি দিতে পারছেন না হাওরের কৃষকরা। বর্তমানে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল তারা।তিনি আরো জানান,বৃষ্টি না হলে তার কষ্টের ফসল নষ্ট হবে।


সর্বশেষ সংবাদ