শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকল্পের দুই মেয়াদের শেষে ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন
- আরাফাত রহমান অভি, শেকৃবি প্রতিনিধ
- প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৪৬ PM , আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:০০ PM
গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে প্রকল্পের প্রথম মেয়াদের নির্ধারিত সময়। বর্ধিত দ্বিতীয় মেয়াদের সময় শেষ হবার ৩ মাস আগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিনের (এএসভিএম) শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রাণিসম্পদ সেবায় তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পটির জন্য বাজেট পাশ হয় ২০১৬ সালে। তখন ৩ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ৪৯০ বর্গমিটারের হওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
গত বছরের জুলাই মাসে হাসপাতালটির টেন্ডার সম্পন্ন হয়। সেসময় হাসপাতালটির নকশা সম্পর্কিত জটিলতা দেখা দেয়। ফলে ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর প্রথম মেয়াদে প্রকল্পটির সময় অতিক্রান্ত হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। পরবর্তীতে হাসপাতালটির নকশা পরিবর্তন করা হয়। তখন হাসপাতালটির জায়গা ৪৯০ বর্গমিটার থেকে বাড়িয়ে ১৫২৬ বর্গমিটার করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে বাজেট ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা করা হয়।
এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির সময়সীমা বর্ধিত করা হয়। এসময় হাসপাতালটি নির্মাণের স্থান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। হাসপাতালটির নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী পরিবারসহ বসবাস করছিল। ফলে তাদের স্থানান্তর করার জটিলতায় হাসপাতালটির নির্মাণের কাজ আটকে থাকে। বসবাসকারীদের পরিবারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যত্র স্থানান্তরের পর গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
ভেট সায়েন্স এন্ড এ. এইচ. স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ভিপি মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, হাতে-কলমে অর্জিত জ্ঞানের অভাবে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনির সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতো। হাসপাতালটি হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা দক্ষ প্রাণিচিকিৎসক হিসেবে গড়ে উঠবে। তাই আমাদের প্রত্যাশা, যেন দ্রুত হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।