গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ক বুক কর্নার উদ্বোধন

সম্প্রতি সার্ক বুক কর্নারটি উদ্বোধন করা হয়
সম্প্রতি সার্ক বুক কর্নারটি উদ্বোধন করা হয়  © টিডিসি ছবি

দক্ষিণ এশীয় কৃষি গবেষণা ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ সম্প্রসারণে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) গ্রন্থাগারে সার্ক কৃষি কেন্দ্র বুক কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশিদ যৌথভাবে এই বুক কর্নারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ময়নুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইউনুস মিয়া।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ড. মো. ইউনুস আলী (লাইভস্টক), ড. সিকান্দার খান তানভীর (ক্রপস), ও ড. রাজা উল্লাহ খান (ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট)। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

প্রায় ২০০টি গবেষণামূলক বই নিয়ে গঠিত এই বুক কর্নারে কৃষি, উদ্যানতত্ত্ব, পশুপালন, হাঁস-মুরগি, মৎস্য, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, খরা ও লবণাক্ততা-প্রবণ অঞ্চলের জন্য অভিযোজন কৌশলসহ নীতিনির্ধারণমূলক নানা বিষয়ের বই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার ৩ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা এসএসসি উত্তীর্ণদের

উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই বুক কর্নারে সংযুক্ত বইগুলোতে রয়েছে সমৃদ্ধ গবেষণা ও বিশ্লেষণ, যা শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিক্ষকদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।’

সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশিদ বলেন, ‘এই বইগুলো দক্ষিণ এশীয় কৃষি গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক সহযোগিতার প্রতিফলন। পোস্টগ্র্যাজুয়েট ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এগুলো প্রয়োজনীয় রেফারেন্স ম্যাটেরিয়াল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্ক কৃষি কেন্দ্র গবেষণা, নীতিনির্ধারণী সংলাপ ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ২৫০টিরও বেশি গবেষণাভিত্তিক বই প্রকাশ করেছে এবং তা নিয়মিতভাবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা দক্ষিণ এশীয় কৃষি জ্ঞান ভাণ্ডারে সরাসরি প্রবেশাধিকার লাভ করবেন, যা ভবিষ্যৎ কৃষি উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ