বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত শিক্ষকেরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে গড়িমসিতে ক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৩২ PM , আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৩২ PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের হাতে তিনজন শিক্ষিকা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমে তদন্ত কমিটিই গঠন করতে চায় নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও দেড় মাসেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং এর মধ্যে তদন্ত কমিটিতে দুবার পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি বাকৃবির শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান একজন নেতা ও তাঁর সমর্থকদের হাত থেকে সংগঠনটির সাবেক একজন নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষক ফোরামের তিনজন শিক্ষিকা লাঞ্ছিত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, আফতাব দুর্বার নামের ভেটেরিনারি অনুষদের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটিতে ছিলেন। সাবেক এই নেতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমানের বিরোধ ছিল। গত ১০ জানুয়ারি আফতাব দুর্বার একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে এলে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী তাঁকে পরীক্ষা হলেই মারধর করতে উদ্যত হন।
আরো পড়ুন: ইবির সকল নিয়োগ বোর্ড স্থগিত
সে সময় পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করা একজন শিক্ষক বিষয়টি ভেটেরিনারি বিভাগের শিক্ষক গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ইসলামকে জানান। পূর্বা ইসলাম দ্রুত বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জানালে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে যান। তখন প্রক্টর এবং শিক্ষক সমিতির নেতাসহ অন্য শিক্ষকেরা আফতাব দুর্বারকে শিক্ষিকা পূর্বা ইসলামের কক্ষে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই তাঁকে মারধর এবং তিনজন শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, বিচার পাওয়া নিয়ে এখন সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্তেও অগ্রগতি নেই।
এদিকে, তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু যে শিক্ষিকারা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন, তাঁদের আপত্তির কারণে তদন্ত কমিটির সদস্যদের দুবার পরিবর্তন করতে হয়েছে। কমিটি দুবার পরিবর্তন করার কারণে তাদের তদন্তে কিছুটা দেরি হচ্ছে।