মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত নম্বর রাখার চিন্তা, কত থাকতে পারে?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৭ PM , আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৬ PM
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশ যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। আগামী ১২ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন, নম্বর বণ্টন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে ভর্তি পরীক্ষায় কত নম্বরের লিখিত থাকবে সেটি নিয়েও।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত বছর ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষা হলেও এবার লিখিত অংশ নেওয়া হবে। পরীক্ষা ১০০ নম্বরেই হবে নাকি ১০০ নম্বরের বেশি হবে সেটি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি বলছে, পরীক্ষায় লিখিত অংশ থাকলেও সেটি খুবই অল্প। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও মানবিকতার বিষয়গুলো যাচাই করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মনে জাগা প্রশ্ন নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির এক সদস্য দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় কত নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি। এটি আমাদের একটি পরিকল্পনা। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর
এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের রুমে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক অনানুষ্ঠানিক সভা হয়। সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব মল্লিকা খাতুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপ ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এতদিন শুধুমাত্র প্রার্থীর মেধা যাচাইয়ের মধ্যে স্মরণশক্তি এবং মুখস্তবিদ্যা প্রাধান্য পেত। আমরা চিন্তা করছি ধীরে ধীরে আরেকটু বৈচিত্র্য নিয়ে আসার। বিশেষ করে একজন প্রার্থীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা এবং তার মানবিকতা যাচাই করতে চাই। আমরা চাই একজন চিকিৎসক মানবিক হোক। এসব বিষয় যাচাই করার জন্য অল্প কিছু প্রশ্নের ধরন আমরা বদলাব। তবে প্যাটার্ন একই থাকবে, এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হবে। কিন্তু বিষয়ের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য আমরা শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। আর এ বছরেই বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না। ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করব। ক্রমান্বয়ে দুই-তিন বছরে যেন বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও মানবিকতার বিষয়গুলো প্রশ্নপত্রের বড় অংশ হয়। এক্ষেত্রে এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার মতো প্রশ্ন প্রণয়নের ব্যাপার আছে। এটা কিভাবে সন্নিবিষ্ট করা যায়, তা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসছি। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত হতে পারে।’