ভর্তিচ্ছুদের পরামর্শ
‘লাইফ টার্নিং মােমেন্টে’ ফেসবুক-ইউটিউবে সময় নষ্ট করা যাবে না
- হাফিজুর রহমান
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ PM
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর কিছুদিন পরই শুরু হয়ে যাবে ভর্তি পরীক্ষা। এ সময়ে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করবেন? লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মানে আমরা কী বুঝি এবং এটার জন্য আগে থেকে প্রিপারেশন নেওয়া প্রয়োজন কি না ?
আমরা সাধারণত উচ্চশিক্ষা বলতে বুঝি দেশের ভেতরে অনার্স মাস্টার্স কিংবা বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া৷ এই পড়াশোনার জন্য আমাদের দরকার পড়ে একটা ন্যূনতম যোগ্যতা বা কোয়ালিফিকেশন৷ হতে পারে সেটা অনার্সের ভালো রেজাল্ট কিংবা কোন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ। এসব যদি আমাদের ঝুলিতে থাকে তাহলে আমরা বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়োরিটি পেতে পারি৷ বিশেষত আমাদের ইংরেজিতে দক্ষতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমাদের এগুলো খুবই জরুরি বলা যেতে পারে৷ এই সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য আমাদের আগে থেকে নিয়মিত পড়াশোনা করার এবং প্রিপারেশন নেওয়ার দরকার৷ তা না হলে আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে৷ সেজন্য আমাদের আগে থেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য প্রিপারেশন নেওয়া প্রয়োজন ৷
উচ্চ-মাধ্যমিকে পড়ার সময় এবং পড়া শেষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের করণীয় কী?
আমরা উচ্চ মাধ্যমিক বলতে সাধারণত কলেজকে বুঝি৷ কলেজে পড়াশোনার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মনে রাখা দরকার, এই কলেজের রেজাল্টের উপর একটা নির্দিষ্ট মার্ক থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে। যেটা অনেক প্রভাব ফেলে ভর্তির মেরিটের উপর। বাংলাদেশের যেকোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কলেজের পড়াশোনা মনোযোগ সহকারে করার প্রয়োজনীয়তা অনেক এবং এটার কোনো বিকল্প নেই। উচ্চমাধ্যমিক থেকেই একজন শিক্ষার্থীকে নিজের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে৷ সেই অনুযায়ী তাকে সামনে এগোতে হবে৷
কিন্তু আমাদের বাস্তবতা এমন হয়ে গেছে যে আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইলেও অনেক সময় কোচিং সেন্টার থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা পাই না৷ কারণ, তারা সার্বিক দিক বিবেচনা করে পড়ায়৷ আবার সব কােচিং সেন্টার একরকম নয়৷
কোনো কারণে অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট আশানুরূপ না হলে ঘাবড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই৷ রেজাল্ট নিয়ে বসে না থেকে, তখনই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিপারেশন শুরু করা দরকার৷ কেননা, একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে আপনার যে আইডেন্টিটি থাকবে সেটা অন্য কারো থাকবে না৷ এই আইডেন্টিটি পাওয়ার জন্য হলেও আপনাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করতে হবে এবং এক নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে৷ কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না৷ মনে রেখেন, আপনি হারার জন্য প্রচেষ্টা করছেন না, আপনি জিতবেন, আপনাকে জিততে হবেই৷ কেননা পেছনে ফেরার সব রাস্তা আপনার জন্য বন্ধ।
শিক্ষার্থীরা আসলে কীভাবে তাদের ভর্তি প্রস্তুতি শুরু করতে পারে?
প্রস্তুতি বলতে আপনি আসলে কী বুঝেন সেটা জানা জরুরি। এখন আপনি জানেন যে, আপনাকে এক লক্ষ শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হবে৷ যেটা নিশ্চয় কোনো স্বাভাবিক বা গতানুগতিক কোনো প্রতিযোগিতা নয়৷ এটাতে আপনার জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করবে৷ বিশেষ করে আপনার ভবিষ্যতের সামজিক মর্যাদা এবং ক্যারিয়ার৷ সেজন্য আপনি গতানুগতিক পড়াশোনা করলে এই প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না৷
আপনাকে সবার থেকে অ্যাডভান্স হতে হবে৷ আগে থেকে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে ৷ আপনি যদি সাইন্সের কোনো ভালো সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার বই থেকে শুরু করে যে সাবজেক্টে পড়তে চান সেটায় কেমন প্রশ্ন আসে বা কেমন করে পড়লে আপনি চান্স পাবেন, সেটায় মনোযোগ দিতে হবে৷ জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোতে হবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি প্রস্তুতি | মানবিক বিভাগ | ২০২৩-২৪ সালের প্রশ্ন থেকে
আবার আপনি যদি মানবিকের কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে চান তাহলে আপনাকে বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের উপর ফোকাস বেশি দিতে হবে৷ পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক বইগুলোও ভালো করে আয়ত্তে রাখতে হবে। আপনারা যদি কমার্স বা বিজনেস ফ্যাকাল্টির কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে চান তাহলে হিসাববিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট এবং ফাইন্যান্সের উপর জোর প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি সবাই কে ইংরেজিতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এছাড়া যারা মেডিকেল /ডেন্টাল কিংবা ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান তাহলে তাদের সেই বিষয়ে আসা বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে সাজেশন নিয়ে বা কােনো গাইডলাইন ফলো করে সামনে এগোতে হবে৷ সোজাকথা, উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের পরপরই এসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে৷ কেননা, পড়াশোনার কোনো বিকল্প নাই।
কোনো কোচিংয়ে যাওয়ার দরকার আছে কি না?
পড়াশোনা বিষয়টা আসলে এমন যে, আপনি শিখতে না চাইলে কেউ আপনাকে সেটা শিখাইতে পারবে না৷ সে যত ভালো শিক্ষকই হোক না কেন৷ আপনি যে বিষয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখেন, সে বিষয়ে আপনার জানা শোনা কম বলেই তো ভালো লাগার বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়ে সেটা নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। তাই নয় কি? সেজন্য আপনার কোচিং সেন্টারে যাওয়া উচিত এই ক্ষেত্রে যে, সেখানে আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন এ আশায়।
কিন্তু আমাদের বাস্তবতা এমন হয়ে গেছে যে আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইলেও অনেক সময় কোচিং সেন্টার থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা পাই না৷ কারণ, তারা সার্বিক দিক বিবেচনা করে পড়ায়৷ আবার সব কােচিং সেন্টার একরকম নয়৷ আবার কোনোটা শুধুই ব্যবসার খাতিরে, তারা সার্ভিসের বিষয়ে উদাসীন৷ তবে একটা বিষয় মনে রাখা ভালো যে, কােচিং সেন্টার যে মডেল নেয় কিংবা অ্যাডমিশনভিত্তিক পরীক্ষা নেয় সেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি চাইলে এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হলেও স্পেশাল ব্যাচে ভর্তি হতে পারেন৷ তবে, আপনার একটি প্রোপার গাইডলাইন থাকলে কোচিং সেন্টারে ভর্তি না হলেও চলে৷ অনেকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি না হয়েও অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্ট নিয়ে পড়ছে এমন নজিরের ও অভাব নাই৷
পড়াশোনায় রুটিন কেমন হওয়া উচিত?
আপনার মতো করে আপনি রুটিন সাজাবেন। সবাই একটা সাবজেক্টের জন্য পরীক্ষা দিবে না যে, সবার রুটিন এক হবে৷ কে কোথায় পরীক্ষা দিবে কিংবা কোন বিষয়ে আগ্রহী সে অনুযায়ী তাকে রুটিন তৈরি করতে হবে৷ অনেক শিক্ষার্থী শুধু রুটিন বানিয়েই রাখে সেটা ফলো করে না।
এজন্য তারা পেছনে পড়ে যায়। তবে, সাধারণত রুটিন এমন হতে পারে যে, আপনি ভোরে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে আধাঘণ্টা বিশ্রাম নিলেন কিংবা হালকা এক্সারসাইজ করে পড়তে বসলেন৷ সকালে সাধারণভাবে ঘণ্টাখানেক মেমোরাইজিং পার্টগুলো পড়তে পারেন৷ তারপর ইংরেজি গ্রামার কিংবা যেখানে আপনার দুর্বলতা বেশি সেটা পড়তে পারেন৷ তারপর ক্রমান্বয়ে এভাবে তিনঘণ্টা পড়ে সকালের নাস্তা খেয়ে কোচিং কিংবা প্রাইভেটে যেতে পারেন৷
তারপর সেখান থেকে এসে দুপুরে গোসল সেরে সালাত আদায় করে খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলেন। তারপর আবার পড়া শুরু করেন। এভাবে নামাজ পড়বেন, খাবেন এবং পড়বেন৷ নিয়মিত পড়বেন৷ এটাই সব থেকে জরুরি। এভাবে পড়লে আপনি দিনে অন্তত ১২ ঘণ্টার বেশি পড়তে পারবেন৷ ফলে আপনার একটি গোছানো রুটিন তৈরি হবে৷ যেটি আপনাকে অ্যাডমিশনে সবার থেকে এগিয়ে থাকতে সহযোগিতা করবে৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া উচিত?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে তরুণ প্রজন্ম ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামেই বেশিরভাগ সময় নষ্ট করে। এই তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বেশি সময় নষ্টের কারণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অযথা সময় নষ্ট করে তারা রিলস, ভিডিও শেয়ার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটের নামে অসামাজিকতা ইত্যাদি কাজ করে থাকে৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে সাজেস্ট করি প্রয়োজন ছাড়া এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না আসার জন্য৷
পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই৷ আমার বইতে লেখা একটা লাইন আপনাদেরকে শেয়ার করি তাহলেই আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন পড়াশোনার গূঢ় অর্থ 'জীবনে সফল হওয়ার অনেক উপায় আছে, কিন্তু পড়াশোনা একটি অনন্য উপায়।' আপনাদের সকলের জন্য দোয়া রইলে যাতে আপনারা সবাই ভালোভাবে পড়াশোনা করে একটি জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারেন৷
বিশেষত, অ্যাডমিশনের মতো লাইফ টার্নিং মােমেন্টে তো নয়ই৷ তবে, অনলাইনে কোনো এক্সাম বা কোনো প্রয়োজনে আসলে সেই কাজ সেরে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে আসা৷ সর্বোপরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরো সচেতন হতে হবে৷
লক্ষ্য এবং পরিকল্পনায় কীভাবে সমন্বয় করা যায়?
আমাদের জীবনের মতো অনেক সময় আমাদের লক্ষ্যও পরিবর্তন হয়ে যায় নানা কারণে। বিশেষ করে আমরা যখন কোনো কিছু চেয়ে সেটা না পাই কিংবা কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ে লক্ষ্য থেকে সরে যেতে বাধ্য না হই৷ তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অসাবধানতার কারণে লক্ষ্য ঠিক থাকার পরও সেটা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হই শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার অভাবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে জেনে নিন কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর
আমার এক বন্ধু আমাকে সবসময় বলতো, 'নিজের লক্ষ্যের বিপরীতে যায় এমন কাজ করা থেকে আমি সবসময় সচেতনভাবে বিরত থাকবে।' তার এই কথাটি আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল যার ফলে আমি আজকে এই অবস্থানে আসতে পেরেছি৷ 'স্নপ্নের জন্য রক্ত যখন ঘাম হয়ে ঝরে, সেই লোনা পানিতে সাফল্যের বীজ অঙ্কুরিত হয়।' এই কথাটার অর্থ হলো আপনি যদি লক্ষ্য স্থির করেন তাহলে আপনি সেই লক্ষ্যে অবচেতন মনে হলেও পরিশ্রম করে থাকবেন। সুতরাং আপনাকে লক্ষ্য পূরণের জন্য অক্লান্ত ভাবে কাজ করে যেতে হবে৷
এ সময়ে অভিভাবক এবং শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে পারেন?
সাধারণত, অ্যাডমিশনের সময় অভিভাবকদের তাদের সন্তানের উপর একটু বেশি কেয়ার করা উচিত বলে আমি মনে করি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যতটা সম্ভব সহযোগিতা করতে হবে, তাদের পড়াশোনায় ডিস্টার্ব হয় এমন কাজ করা থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে৷ তাদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে৷ প্রয়োজনে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিতে হবে- জটিল প্রশ্ন বা নতুন করে কোনো কিছু জানার জন্য। কোনো সহজ মাধ্যম বা কোনো স্পেশাল কেয়ারিংয়ের জন্যও শিক্ষকদের সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
পরীক্ষার কাছাকাছি সময়ে বা শেষ সময়ে কী কী করা উচিত?
পরীক্ষা কাছাকাছি আসলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের যেগুলো পড়া হয়ে গিয়েছে সেগুলো রিভিশন দেওয়া। নতুন করে কোনো টপিক শুরু না করা৷ কোনো কারণে ডিপ্রেসড না হওয়া কিংবা ভয় না পাওয়া। আমার থেকে আরেকজন ভালো করবে এই ধরনের মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা। সব সময় নিজের উপর কনফিডেন্স রাখা।
এ সময়ে সবার অনেক প্রত্যাশা থাকে, চাপ সামলাতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা কী করতে পারে?
প্রত্যেক অ্যাডমিশন ক্যান্ডিডেটের ফ্যামিলির-ই একটা প্রত্যাশা থাকে যে, তার ছেলে বা মেয়ে যেন একটা ভালো স্কাের করে এবং কোনো ভালো একটা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায়৷ এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপর একটা মেন্টালি প্রেসার পড়ে স্বাভাবিকভাবেই। সবচেয়ে বেশি যেটা খেয়াল রাখা জরুরি সেটা হলো নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখা, বেশি প্রেসার না নেওয়া৷ নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করা যাতে পরবর্তী সময়ে কৃতকর্মের জন্য আফসোস করতে না হয়৷
পরিশেষ, সকল শিক্ষার্থীকে একটা কথা বলতে চাই সেটা হলো পড়াশোনাটা আপনাদের নিজেদের। পড়াশোনা করুন আর যাই করুন জীবনে মানুষের মতো মানুষ আপনাকে হতে হবে৷ পাবলিকে চান্স না হলে হতাশায় পড়ে না যাওয়া। কারো জীবন কখনো থমকে থাকে না সামান্য কোনো কারণে।
পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই৷ আমার বইতে লেখা একটা লাইন আপনাদেরকে শেয়ার করি তাহলেই আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন পড়াশোনার গূঢ় অর্থ 'জীবনে সফল হওয়ার অনেক উপায় আছে, কিন্তু পড়াশোনা একটি অনন্য উপায়।' আপনাদের সকলের জন্য দোয়া রইলে যাতে আপনারা সবাই ভালোভাবে পড়াশোনা করে একটি জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারেন৷