দুই মাস ধরে চলবে কার্যক্রম

জাবি ভর্তি আবেদন-মেধাতালিকা-চূড়ান্ত ভর্তি কবে, কীভাবে?

জাবি ক্যাম্পাস
জাবি ক্যাম্পাস  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার দুই মাস ধরে চলবে ভর্তি কার্যক্রম। এরপর শুরু হবে একাডেমিক কার্যক্রম। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সময়সূচি ও নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে অনলাইনে পছন্দক্রমের ফরম পূরণ করতে হবে। 

ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে অনলাইনে পছন্দক্রমের ফরম পূরণ করতে হবে। এ, বি, সি, ডি, ই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগসমূহে ভর্তির জন্য (আসন সংখ্যার ১০ গুন) শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক পছন্দক্রমের ফরম পূরণ করতে হবে। 

ভর্তির ক্ষেত্রে পছন্দক্রমের ফরম পূরণ ব্যতীত কাউকে বিবেচনা করা হবে না। শিক্ষার্থী কর্তৃক পূরণকৃত পছন্দক্রম পরবর্তীতে কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন করা যাবে না। পছন্দ অনুযায়ী ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সর্বশেষ ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলমান থাকবে। সি১ ও আইবিএ-জেইউ এর ক্ষেত্রে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক ছন্দ পূরণের প্রয়োজন নেই।

আগামী ১৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ইউনিট অফিস কর্তৃক চূড়ান্ত মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশিত হবে। মেধা তালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ২১ এপ্রিল। চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা শাখায় জমা দিতে হবে৷ 

ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীকে অনলাইন ভর্তির ডাউনলোডকৃত ফরমের সঙ্গে এসএসসি/সমান ও এইচএসসি/সমমান এর মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার হতে সংগৃহীত মেডিকেল সনদপত্র প্রত্যেকটির এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি (বিভাগ কর্তৃক সত্যায়নপূর্বক), শিক্ষার্থী কর্তৃক অনলাইনে পূরণকৃত বিষয়ভিত্তিক পছন্দক্রমের ফরম এবং প্রবেশপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সভাপতি এবং ডিনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার অফিসের শিক্ষা শাখায় সশরীরে উপস্থিত থেকে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা না দিলে ভর্তি বাতিলপূর্বক আসন শূন্য ধরে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এই শূন্য আসন পূরণ করা হবে। ভর্তি নিশ্চিতের সময় প্রার্থী অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকলে ভর্তির প্রমাণপত্র সঙ্গে আনতে হবে।

৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ইউনিট অফিস কর্তৃক ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন তালিকা ও শূন্য আসনের তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হবে ৮ মে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৩ মে, চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য ১৪ থেকে ১৬ মে তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখায় জমা দিতে হবে।

১৯ মে ২য় ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ইউনিট অফিস কর্তৃক ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন তালিকা ও শূন্য আসনের তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য ইউনিট অফিসে সশরীরে উপস্থিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে ২১ মে। শূন্য আসনে ভর্তিচ্ছুক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ২৬ মে। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র শিক্ষা শাখায় জমা দিতে হবে ২৬ মে।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (সন্তান নাতি-নাতনি), ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর সম্প্রদায় এবং দলিত সম্প্রদায় কোটায়, প্রতিবন্ধী কোটায়, খেলোয়াড় কোটায় (বিকেএসপি এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড় এমন শিক্ষার্থী), পোষ্য কোটায় ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে ১৯ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। বিভিন্ন কোটায় অনলাইনে পূরণকৃত প্রিন্টেড আবেদন ফরমের সাথে কোটার স্বপক্ষে প্রমাণস্বরূপ সংশ্লিষ্ট সনদপত্র/ প্রত্যয়নপত্র ২০ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখায় জমা দিতে হবে।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (ju-admission.org) পাওয়া যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ