রাবির আসনপ্রতি আবেদন ৪৭টি, সর্বোচ্চ ‘বি’ ইউনিটে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০টি। সে হিসেবে আসনপ্রতি আবেদনের সংখ্যা প্রায় ৪৭টি। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

রাবিতে এবার মোট আসন তিন হাজার ৯৮৪টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ৮৭২টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে ৫১৫টি ও ‘সি’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ৫৯৭টি। আসনপ্রতি সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ‘বি’ ইউনিটে। আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায়।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, গতকাল রাতে চূড়ান্ত আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। তবে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফার আবেদন পূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় দফায় ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৬ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি এবং চতুর্থ দফায় ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পান ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।

আবেদন জমা হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বমোট আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০টি। ‘এ’ ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে ৭৪ হাজার ৭০০টি, আসনপ্রতি আবেদন ৪০টি। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য বিভাগ) ৩৪ হাজার ৫০০টি, আসনপ্রতি আবেদনে পড়েছে ৬৭টি। আর ‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান বিভাগ) ৭৬ হাজার ৩০০টি, আসনপ্রতি ৪৮টি আবেদন পড়েছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ আছে। সে কারণে এ সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। 

আরো পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ

'বি' ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদনকারীর সংখ্যা কম থাকায় তাদের জন্য আর কোনো সুযোগ রাখা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত 'বি' ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদনকারীর সংখ্যা কমই হয়। আবেদনের জন্য সময় বেশি দেওয়া হলেও আবেদনকারীর সংখ্যা খুব একটা বাড়বে না। তাই আমরা আর অতিরিক্ত সময় দেব না। 

প্রসঙ্গত, আগামী ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট এবং ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের মতো ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। ১ ঘন্টা সময়সীমায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫। ভর্তি পরীক্ষা তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ