গুচ্ছে থাকা প্রসঙ্গে যা বললেন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সাদেকা হালিম এবং অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সাদেকা হালিম এবং অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম  © ফাইল ছবি

গত শিক্ষাবর্ষের ন্যায় এবারও বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চায় না। গুচ্ছের নানা সমস্যা তুলে ধরে এই পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যেতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সেজন্য এবারও গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। 

যদিও ইউজিসি সভাটিকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণী সভা বলছে। তবে যারা গুচ্ছে ছিল তারা যেন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও এই প্রক্রিয়ার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে এই সভা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অন্যতম।

জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবারই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টাও করা হয়েছে। তবুও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রক্রিয়ার ভর্তি পদ্ধতির সাথে থাকতে চায় না। একক ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।’

জবি উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমার একার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। গুচ্ছ নিয়ে ইউজিসিতে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচনার পর বিষয়টি নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা অনেক আগে থেকেই গুচ্ছে থাকতে চান না। তবে রাষ্ট্রপতি অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় গুচ্ছে থাকতে হয়েছে। এবার কি হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ইউজিসির সভায় যে আলোচনা হবে তা একাডেমিক কাউন্সিলে তোলা হবে। এরপর সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ’


সর্বশেষ সংবাদ