ভিসিদের সঙ্গে ৪ মে ইউজিসির বৈঠক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়ার চিন্তা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫৩ PM , আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৭:০৭ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাঈমা খান। করোনার বন্ধে বর্তমানে বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাস করছেন তিনি। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। সে সময় তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে অনলাইনে ক্লাশ শুরু হয়। অন্যদিকে গত বছরের মার্চের পর থেকে এখনও বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময়ের মধ্যে নাঈমা দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শেষ করে ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়েই চলতি বছরে তৃতীয় বর্ষের ক্লাশ শুরু করেন।
তিনি জানান, আগামী মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে হবে। বিষয়টি বিভাগ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। যদি আবাসিক হল না খুলে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাহলে তিনি কিভাবে পরীক্ষা দেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নাঈমার মতো দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকলাখ শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্যমতে, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস শুরু করার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এর পরপরই ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রদান করে। ফলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কোনও সেশনজটের মুখে পড়তে হয়নি। অন্যদিকে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় না যাওয়াতে এক বছরের সেশনজটে পড়ছে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্টদের মতে, কোভিড-১৯ এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন এবং চাকুরীর অনিশ্চয়তায় হতাশ ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলমান লকডাউন আগামী ৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় সেশনজট নিরসনে আসন্ন ঈদের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে গত বছরের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে চায়। এ লক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া ও দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ ইউজিসি সঙ্গে আগামী ৪ মে এক বৈঠকে বসবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, আগামী ৪ মে ইউজিসির সঙ্গে উপাচার্যদের একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ইউজিসির সদস্য সদস্য অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যবৃন্দের সাথে বৈঠকের পর ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিমেস্টার ফাইনাল বা সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন চূড়ান্ত করবে।