এসএসসি ও সমমান
ফল রিভিউয়ে কতটা ফল পাওয়া যায়, অতীত কী বলে?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:২১ PM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ PM
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবারের মত এবারও ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়া শিক্ষার্থীরা। ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। ফল পুনঃনিরীক্ষণের ফলে অনেক শিক্ষার্থীর গ্রেডের উন্নয়ন হলেও কারো কারো ফল অপরিবর্তিতই থেকে যায়। তবুও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি মূল্যবান সুযোগ।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণে প্রশ্নপত্র নতুন করে মূল্যায়ন নয়, বরং, উত্তরপত্রে নম্বর যোগে ভুল হয়েছে কি না, কোনো উত্তর বাদ পড়েছে কি না—সেসব বিষয় যাচাই করা হয়। ফলাফল পরিবর্তিত হলে নতুন গ্রেড বা নম্বর দেখানো হবে। কোনো পরিবর্তন না হলে ‘No Change’ বা ‘পরিবর্তন হয়নি’ লেখা থাকবে।
ফল প্রকাশের পর প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে। অতীত রেকর্ড বলছে, এতে সফলও হয় অনেকে। সাধারণত, পুনঃনিরীক্ষণের ফলে ২ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত ফল পরিবর্তিত হয়। এতে গ্রেড উন্নয়নের পাশাপাশি অকৃতকার্য থেকে কৃতকার্য হয় অনেকে। এমনকি নতুন করে জিপিএ-৫ পাওয়ার নজিরও তৈরি হয়।
যেমন, গত বছরের পুনঃনিরীক্ষণের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন ৭০ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ২ হাজার ৭২৩ জনের। আবেদনের বিপরীতে ফল পরিবর্তনের হার ৩.৯ শতাংশ। পুনঃনিরীক্ষণের ফলে ঢাকা বোর্ডে অকৃতকার্য থেকে পাস করেছেন ১২৭ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৪৪ জন।
অন্যদিকে, কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণে ৭৮১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছিল। এর মধ্যে ৭৭ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০৪ জন ফেল থেকে পাস করে। পরিবর্তন হয় ৫০০ জনের গ্রেড। সে হিসেবে আবেদনের বিপরীতে ফল পরিবর্তনের হার ১.৬২ শতাংশ।
তথ্যমতে, বোর্ডটিতে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে ৩০ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী ৭৫ হাজার ৮৫টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য অনলাইনে আবেদন করে।