সিনেমা রিভিউ: মেহজাবীন চৌধুরীর ‘সাবা’ চলচ্চিত্রটি কেন দেখবেন?

মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘সাবা’
মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘সাবা’  © সংগৃহীত

কিছুদিন আগে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘সাবা’। সম্প্রতি ছবিটি দেখার সুযোগ পেলাম এবং প্রথম ফ্রেম থেকেই গল্পে পুরোপুরি ডুবে গিয়েছি। এক ধরণের বিশেষ ম্যাজিক আছে এই ছবিতে, যা দর্শককে সহজে আলাদা হতে দেয় না। সেই ম্যাজিক ঠিক কী, তা বলা কঠিন।

সবচেয়ে বেশি যা আমাকে প্রভাবিত করেছে, তা হলো গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা। লোকেশন, শব্দ, চরিত্রের সবকিছু এত স্বাভাবিক যে একটিও দৃশ্য বানানো মনে হয়নি। ছোট ছোট দৃশ্যগুলো গল্পকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে গেছে, মা-মেয়ের সম্পর্কের রসায়ন চমৎকারভাবে পর্দায় ফুটেছে। ক্যামেরার অস্থির মুভমেন্ট গল্পের স্বাভাবিকতা বাড়িয়েছে।

চিত্রনাট্য মেদহীন, কোনো আরোপিত বা উচ্চকিত সংলাপ নেই। ডিরেকশন স্মার্ট, প্রতিটি দৃশ্য ছোট ছোট বিল্ডআপে স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠেছে। লোকেশন সাউন্ডের ব্যবহারও অসাধারণ, এমনকি আবহসঙ্গীত ছাড়া ছবিটি কার্যকর।

চলচ্চিত্রে অভিনয় কার্যত প্রয়োজন হয়নি। মেহজাবীন এবং মোস্তফা মনোয়ারের শেষ দৃশ্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য, এ ধরনের পরিমিতি আগে বাংলাদেশি ছবিতে দেখা যায়নি।

ক্যামেরার কাজ, জাম্প কাট ও কালার গ্রেডিং অত্যন্ত প্রাঞ্জল। ক্যামেরা চরিত্রের সাথে এত বিশ্বস্তভাবে চলেছে যে আলাদা কোনো দৃশ্য বা এডিট চোখে পড়েনি। দর্শক সত্যিই অনুভব করেন যেন ঘটনাগুলোর মধ্যে বসে নিজ চোখে সব দেখছেন।

যারা ভবিষ্যতে আর্টহাউজ সিনেমা বানাতে চান, তাদের জন্য ‘সাবা’ এক অনন্য উদাহরণ। ধন্যবাদ টিম ‘সাবা’।

আলভী আহমেদ: কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা


সর্বশেষ সংবাদ