বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ করবে ভারত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০১:৫৬ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৫৮ PM
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দুটি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ করতে চলেছে ভারত। এছাড়া বিএসএফের আরও ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া এখন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে এক হাজারের বেশি জওয়ানসহ এসব ইউনিটে মোট প্রায় ১৭ হাজার সদস্য থাকবে। সোমবার (৫ মে) বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএফের ১৬টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের বিষয়টি শিগগিরই সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে চলেছে, যাতে প্রায় ১৭ হাজার নতুন সৈন্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিম এবং পূর্ব ফ্রন্টে দুইটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার বা অগ্রবর্তী সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে বলেও সরকারি বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রগুলোর তথ্যমতে, এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে এবং এখন শুধুমাত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত ছাড়ের অপেক্ষা। অনুমোদন মিললে বিএসএফের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
বিশেষ করে গত বছর বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে (ভারতের) পূর্ব সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং এপ্রিলের ২২ তারিখে পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তান সীমান্তেও নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন ব্যাটালিয়ন এবং সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা বিএসএফের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বর্তমানে বিএসএফের ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, যার প্রতিটি ব্যাটালিয়নে গড়ে এক হাজারের বেশি সদস্য থাকে। নতুন ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠিত হলে বিএসএফে অতিরিক্ত প্রায় ১৭ হাজার সদস্য যুক্ত হবে। এগুলো ধাপে ধাপে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে গড়ে তোলা হবে।
ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মিরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে জম্মুতে একটি নতুন সেক্টর সদর দপ্তর তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ সীমান্তের নজরদারি বাড়াতে মিজোরামে একটি নতুন সেক্টর হেডকোয়ার্টার হবে।
পিটিআই বলছে, বিএসএফের প্রায় পৌনে তিন লাখ সদস্য রয়েছে এবং এই বাহিনী কয়েক বছর আগে ২০-২১টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সীমান্তের জটিল ভূপ্রকৃতি এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।