পাহেলগাম হামলার পর আতঙ্কে কাটছে কাশ্মিরীদের দিন
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:৩২ PM
কাশ্মীর উপত্যকা এখন যেন এক ভয়ের নগরী। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর হওয়ায় আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কাশ্মীরিরা। ঘটনার পর থেকে ভারত সরকার সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করছে এবং বিদ্রোহীদের বাড়িঘর ভাঙছে। পাশাপাশি কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশে পর্যটন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে বসবাসরত পাকিস্তানি নাগরিকদের—বিশেষ করে যারা পূর্বে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তাদেরও দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
শ্রীনগর, ভারতশাসিত কাশ্মীর—পাহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার কয়েকদিন পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। জল্পনা চলছে, নয়াদিল্লি তার পশ্চিম প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।
কাশ্মীরে গত পঁচিশ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের শুরু হয়েছে। এটি পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশকে সামরিক সংঘাতের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মিরে হামলার পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত’
ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে নয়াদিল্লি তাদের দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এর ফলে কাশ্মীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ এ উত্তেজনা এবং প্রতিক্রিয়ার মূল প্রভাব পড়ছে কাশ্মীরবাসীর উপর।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল দুপুরে, সন্দেহভাজন বিদ্রোহীরা কাশ্মীরের পাহেলগামের একটি নয়নাভিরাম তৃণভূমির বন থেকে বেরিয়ে আসে—যেখানে পৌঁছানো যায় শুধু হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে। সেখানেই তারা পুরুষ পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়। এই হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় কাশ্মীরি ঘোড়সওয়ার নিহত হন।