মধ্যরাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি   © টিডিসি ফটো

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের ফালামে, যার গভীরতা ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিভাগ থেকেও ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর মিলেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প তথ্য প্রদানকারী সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ৪.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াং। তাদের তথ্যে প্রভাবিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে—মিয়ানমারের সাগাইং, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিয়ানমার ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি। ভারত ও ইউরেশিয়া—এই দুই টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে দেশটি অবস্থিত হওয়ায় সেখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি। এই প্লেটদ্বয়ের সীমানা, যা ‘সাইগং ফল্ট’ নামে পরিচিত, মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনসহ বহু ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ মার্চ, মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাব পড়ে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এমন বড় মাত্রার ভূমিকম্প আর ঘটেনি।


সর্বশেষ সংবাদ