ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব পড়তে পারে যে ১০ জেলায় 

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা  © ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানবে না, তবে এর প্রভাব দেশের অন্তত ১০টি  জেলায় পড়তে পারে।

সোমবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে ষষ্ঠ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ অবস্থান করছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের দিকে সেখানে এটি স্থলভাগে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের আশপাশে সাগর খুবই উত্তাল অবস্থায় রয়েছে।

আজ দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৩০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১,২৪৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১,২০০ কিলোমিটার এবং পায়রা থেকে ১,১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে এবং গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামী কয়েকদিন বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকবে। এদিন দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

বুধবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে। ওইদিন রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ স্থানে এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আর কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে।

তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টির প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ