প্রফেসর শামস্ রহমান © টিডিসি সম্পাদিত
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ এর বিশ্বসেরা গবেষক তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শামস্ রহমান। গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের ২% শতাংশ গবেষকদের এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় বাংলাদেশের ৭১টি প্রতিষ্ঠানের ২৮৬ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভিসিসহ প্রতিষ্ঠানটির দু’জন স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়।
এলসেভিয়ারের প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ২৩ জন বিজ্ঞানী নিয়ে এই তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি), প্রতিষ্ঠানটির ১৮ জন বিজ্ঞানী এই তালিকায় রয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন চিকিৎসক এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
তালিকায় স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শামস্ রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, অন্যান্য কাজ ও লিডারশিপ; এসবে আমার প্রচুর সময় যায়। তারপরেও আমি কিছু গবেষণার চেষ্টা করি, সেগুলোরই ফলশ্রুতি হয়তো এটি।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রফেসর শামস্ রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় আমাদের দেশের যে সংখ্যা, সে সংখ্যা থেকে উত্তরোত্তর উন্নতির প্রচুর সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি। আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি দেখছি, আমাদের শিক্ষকরা গবেষণায় মনোনিবেশ করছেন। দুই বছরে গবেষণায় অনেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে আরও হবে। গবেষণার বিষয়টা রাতারাতি কিছু হয় না, সময় লাগে। এজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। আমরা এ বছর এপ্রিল মাসে একটা রিসার্চ ডে উদযাপন করেছি, এতে প্রায় ৭০ জন একাডেমিক এবং শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করেছি।
প্রফেসর শামস্ রহমান বলেন, আমরা সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন ও উদ্যোগ নিচ্ছি। এ ছাড়া গবেষণা খাতে ব্যয়ও বাড়িয়েছি, আরও বাড়াব ভবিষ্যতে। এর মাধ্যমে আমরা একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছি, যেখানে প্রকাশনাগুলো আরও ভালো হতে পারে। শুধু নম্বর না, যাতে কোয়ালিটি হিসেবে ভালো হতে পারে।