ট্রাম্প ও মোদি © সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে টানাপোড়নের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ডাক পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ভারত। বেশকিছু দিন ধরেই রাশিয়ান তেল কেনা ও বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে সম্পর্ক টানাপোড়নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ দুটির। সম্প্রতি ডাক যোগে পাঠানো কম মূল্যের পার্সেল প্যাকেজের ওপর মার্কিন কাস্টমস শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পর পাল্টা এই পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় সমাধান পাওয়া গেলে দ্রুতই ডাক পরিষেবা পুনরায় চালু হতে পারে। ২৫ আগস্ট থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পার্সেল পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতের ডাক বিভাগ। তবে ভারতের পাশাপাশি একই পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ। কারণ মার্কিন কাস্টমস কম মূল্যের প্যাকেজের ওপরও শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতের ডাক বিভাগ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ডাক পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের চিঠি, নথি এবং উপহার সামগ্রী পাঠানো যাবে। গত ৩০ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর নির্বাহী আদেশের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। ২৯ আগস্ট থেকে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ২৯ অগস্ট থেকে তাদের দেশে যেকোনো মূল্যের পার্সেল পাঠালে তাতে শুল্ক দিতে হবে। আর এই শুল্ক দিতে হবে ইন্টারন্যাশনাল ইমারজেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার অ্যাক্টের শুল্ক পরিকাঠামো অনুযায়ী। ওই পরিকাঠামোয় কেবল ছাড় থাকবে ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত গিফট আইটেমে। এছাড়া যেসব ভারতীয় ডাক বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানের নাম তাদের তালিকায় আছে, তারাই কেবল পণ্যবাহী উড়োজাহাজ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ইতালির ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় এমন পণ্য বহনের চালান ২৫ আগস্টের পর থেকে আর গ্রহণ করবে না। ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া এবং ডেনমার্ক ইতোমধ্যেই একই ধরনের ধরনের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে।
সংবাদসূত্রঃ এনডিটিভি