ছাত্রীর ভুল তথ্যে দোষী শনাক্তে দেরি: চবি প্রক্টর

 ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া
ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর দেওয়া তথ্যে ভুল থাকায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। সোমবার (২৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।

প্রক্টর বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার অভিযোগে প্রথমে বলেছিল যে তাকে প্রীতিলতা হলের পাশ থেকে অভিযুক্তরা টেনেহিঁচড়ে আড়ালে নিয়ে যায়। কিন্তু তদন্ত চলাকালে সে জানিয়েছে, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পেছনের গলি বা ছোট রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় বন্ধুসহ বসেছিল। পরে সেখানে গিয়ে অভিযুক্তরা তাদের মারধর ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই ফজিলাতুন্নেছা হল। তার পেছনে ছোট একটি পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গলের পর ওই ফাঁকা জায়গার অবস্থান। কিছুটা ভেতরে হওয়ায় ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।

প্রক্টর বলেন, ঘটনাস্থল মূল রাস্তা থেকে ভেতরে হওয়ায় সেখানে স্বাভাবিকভাবেই কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। ফলে আমাদের কিছুটা দূরের প্রীতিলতার হলের দুপাশের রাস্তায় থাকা ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করতে হচ্ছে। আর স্টেটমেন্ট ভিন্ন হওয়ায় দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতেও দেরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতার হলের পাশে এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে অজ্ঞাত পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। ওই সময় ভুক্তভোগী ও তার এক বন্ধুকে ঘণ্টাখানেক আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও ভিডিও ধারণ করে বলে তারা জানান।

এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে আমানত হলে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ। এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে হাটহাজারী ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাদের দুজন চবি ও বাকিরা হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় জড়িত চবির দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃত দুইজন হলেন- ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিম (২৩) ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল আবছার বাবু (২২)

এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। সেখানে ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা ডিসিপ্লিনারী কমিটির বিশেষ সভায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া অন্য কলেজের যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ