‘স্যার’ ডাক শুনতে চান জাবির কর্মকর্তারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘স্যার’ ডাক শুনতে চান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে কর্মকর্তা সমিতির নেতারা বলছেন, স্যার সম্বোধন দোষের কিছু না।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসগুলোতে গিয়ে কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অফিসের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের স্যার বলে ডাকেন। কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধন না করলে শিক্ষার্থীদের সাথে অসহযোগীতা মূলক আচরণ করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মকর্তাদের বেতন হয় সরকারি টাকায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তারা। যথোপযুক্ত সম্মান দিয়ে কথা বলি ওনাদের সঙ্গে। তারপরও ওনারা স্যার বলতে বাধ্য করেন আমাদের। সংবিধানে তাদের কোথাও স্যার ডাকার বিধান নেই।

এ বিষয়ে অফিসার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রথম শ্রেণীর চাকরিজীবী। তাদের স্যার ডাকা দোষের কিছু না। এখানে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে।শিক্ষার্থীরা তো অনেকেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর চাকরি করেন। তারা তো ঊর্ধ্বতনদের তখন স্যার সম্বোধন করেন। এখানে ডাকলে সমস্যা কোথায়।

আরও পড়ুন- শেষ সময়ে নিয়োগে তাড়াহুড়ো জাবি ভিসির 

কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু শিক্ষকদেরই স্যার সম্বোধন করে শিক্ষার্থীরা। অনেক কর্মকর্তা তো শিক্ষকদের চেয়ে বেশি বেতন পান। এখন তারা কী চান, শিক্ষকরাও তাদের স্যার ডাকুক। পদ-পদবী কখনো সম্মান বয়ে আনে না।

এর আগে, প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে জোর করে স্যার বা ম্যাডাম সম্বোধন শুনতে চেয়ে আলোচনায় আসেন। গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়। সংসদেও কথা উঠে এ বিষয়ে। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম সম্বোধনের রীতি নেই। একই সঙ্গে যারা সেবা নিবেন তাদেরও সম্মানের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আচরণ করা উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ