জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি: ১৫ অক্টোবর ঢাবিতে শোক দিবস

ছাদ ধ্বসে মুহূর্তেই ঝড়ে যায় ৩৯টি তাজা প্রাণ
ছাদ ধ্বসে মুহূর্তেই ঝড়ে যায় ৩৯টি তাজা প্রাণ  © সংগৃহীত

হলের ছাদ ভেঙে নিহত শিক্ষার্থী ও অতিথিদের স্মরণে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শোক দিবস পালন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) পরিবার। আগামী ১৫ অক্টোবর দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এবার দিবসটি পালিত হবে।

১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে ঢাবির জগন্নাথ হলের ছাদ ধ্বসে পড়ে ছাত্রদের উপর। পরের দিন দুর্গাপূজার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাড়ি যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল। কিন্তু ছাদ ধ্বসের কারণে মুহূর্তেই ঝড়ে যায় ৩৯টি তাজা প্রাণ। আহত হয় ৩০০ জনের বেশি। 

১৯২১ সালে নির্মিত জগন্নাথ হলের ওই ভবনটি ভেঙে পড়ার আগে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ১৫ বছর পরেও সেখানে কোন সংস্কার না হওয়ায় তা কেড়ে নেয় বহু তাজা প্রাণ।

জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় যে সব ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করা হয়।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শোক দিবসে নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচীর বিষয়ে জানানো হয়েছে।

আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন, সকল হল এবং হোস্টেলে কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শোক দিবসের সূচনা হবে। একই সাথে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ।

সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করা হবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে। এরপর জগন্নাথ হল প্রশাসনের আয়োজনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।

এছাড়া সকাল নয়টা থেকে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা এবং বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও সকল হল মসজিদে দোয়া করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ