রাবিতে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উদযাপন

থ্যালাসেমিয়া দিবস উদযাপন
থ্যালাসেমিয়া দিবস উদযাপন  © ব্যানার

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া উদযাপন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব। শনিবার (৮ মে) ৩টায় এক অনলাইনে সেমিনারের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে ইশতেহার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ভাইস চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মাসুমা রহমান। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসানের সঞ্চালনায় শুরু অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ পরিচালক ড. সারোয়ার হোসাইন।

অনুষ্ঠানে আলোচকগণ রোগটির আর্থিক, মানসিক ও সামাজিক ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রোগটি হলে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ইশতেহার আলী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণসচেতনাতায় নতুন কিছু উপহার দিয়ে আসছে রাবির সায়েন্স ক্লাবের যার ধারাবাহিতায় প্রথম বারের মতো থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক আয়োজন। যাতে মানুষের মধ্যে এবিষয়ে জনসচেতনতার সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টামন্ডলী, স্থায়ী কমিটির ও বর্তমান কমিটির সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

‘বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবার অসমতা আলোকপাত করা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবারের ন্যায় এ প্রতিবছরের ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিশ্বে যেসব বংশগত রোগ নিয়ে শিশুজন্ম গ্রহণ করছে তারমধ্যে অন্যতম একটি রোগ থ্যালাসেমিয়া।ফলে এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৮ মে দিনটিকে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে ঘোষনা করেছে।

থ্যালাসেমিয়া রক্তের লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন অংশের একটি অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ। ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিন হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন অংশে ত্রুটি সৃষ্টি করে। ফলে লোহিত রক্তকণিকার আয়ু স্বাভাবিক ১২০ দিন থেকে কমে মাত্র ২০-৬০ দিনে নেমে আসায় মারাত্মক রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। যার ফলে এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত মাসে একাধিকবার রক্ত সঞ্চালন করতে হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ লোক থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক এবং মারাত্মক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। থ্যালাসেমিয়া বাহক হিসেবে বিয়ের মাধ্যমে প্রতিবছর নতুন করে ৭ থেকে ১০ হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম নিচ্ছে। সচেতনতার অভাবে দিনে দিনে এই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ