সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা কর্তৃপক্ষের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫২ PM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের সমন্বয়কারী অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এ নির্দেশনা নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন।
নির্দেশনায় তিনি বলেছেন, ‘অনেক জটিলতা থাকলেও আমরা পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরীক্ষা নেয়া প্রায় নিয়মে এনেছিলাম। তবে ফলাফল বিপর্যয় পীড়াদায়ক ছিলো। তার কারণ ব্যাখ্যায় যাবো না। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমাদের অতি উৎসাহী কেউ কেউ এজন্য দায়ী। এটা মানতে হবে, ফেল করা শিক্ষার্থীকে পাশ করানোর দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না। সুযোগও নেই। এখনো সতর্ক না হলে একসময় বিনা সনদে বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আবার যারা নিয়মিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তাদের তাদের ক্লাস, পরীক্ষা পূর্ব নির্ধারিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শতভাগ সফলভাবে চলছিল। কিন্তু করোনা আমাদের সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ব।’
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে করোনার শুরু হতে সারা দেশের মতো ঢাকার সরকারি ৭ কলেজ অনলাইনে ক্লাস নেয়ার কার্যক্রম শুরু করে। শিক্ষক ছাড়াও শিক্ষার্থীদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিলো, এখনো আছে মানতে হবে। তবে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব ছিলো না। তাই সিলেবাস শেষ করতে তারা অনেকটা সফল। বিভিন্ন বর্ষের সিলেবাস প্রায় শেষ।
বিজ্ঞানের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের বিষয়টি তার কাছে বোধগম্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাস্টার্স চূড়ান্ত, ডিগ্রি স্পেশালসহ ২/৩টি পরীক্ষা মাঝপথে আটকে আছে। সরকারি নির্দেশনা ও ক্লিয়ারেন্স যখনই পাওয়া যাবে, স্বল্প সময়ের নোটিশে ও গ্যাপে সকল পরীক্ষা শুরু হবে এবং দ্রুত ফল প্রকাশে আমরা সচেষ্ট থাকবো।
এর বাইরে অন্যান্য সকল বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার জন্য পরীক্ষা কমিটি গঠন, প্রশ্ন প্রণয়ন, রুটিন তৈটি, ফরম ফিলাপ সব কিছুর প্রস্তুতি নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৭ কলেজের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছে। মনে রাখতে হবে, সময় খুব বেশী সময় দেয়া যাবে না বা পরীক্ষায় বেশী গ্যাপও দেয়া যাবে না। কারণ, করোনায় অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। চাকরির বাজারের বেশ হাহাকার। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের ভালো সামর্থ্যের কারণে দ্রুত তাদের শিক্ষার্থীদের চাকরি বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে। পিছিয়ে যাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজে পড়ুয়া প্রান্তিক লেভেলের শিক্ষার্থীরা। তাই আমরা সতর্ক।
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ঢাকার সরকারি ৭ কলেজের প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সতর্ক হবার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর শিক্ষার্থীদের প্রতি, ফেল করাদের পাস করানোর দায়িত্ব কেউ নেবে না। যেহেতু করেনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতি, নিজেদের অনেক অনেক দায়িত্বশীল হতে হবে। পড়ে পাস করতে হবে।’