সামাজিক দূরত্ব রেখে ক্লাস চলতে পারে, কিন্তু হলে দূরত্ব কীভাবে হবে?

  © প্রতীকী ছবি

গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ বন্ধের সময়সীমা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে সরকার।

জানা গেছে, করোনা মহামারির মধ্যে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গত ৩০ এপ্রিল এক অনলাইন বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রেণি পাঠদান চলছে। এছাড়া সংসদ টিভির পাশাপাশি বেতারের মাধ্যমে গত ১২ আগস্ট থেকে প্রাথমিকের ক্লাস সম্প্রচারিত হচ্ছে।

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে হয়তো করোনার প্রকোপ কমে যাবে।

তিনি বলেন, যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা নেই, সেখানে হয়তো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে থেকে লেখাপড়া করে। সেক্ষেত্রে হলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা নিয়ে আমরা সন্দিহান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করেনার যে অবস্থা, তাতে সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতেই পারব না। আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। তারপরে অন্য কিছু। সেপ্টেম্বরকে লক্ষ্য করে আমরা এগোচ্ছি। সেপ্টেম্বরের আগে স্কুল খুলব না।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিৎ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে হয়তো করোনার সংক্রমণ আরও কমে যাবে। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করতে চাই। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।


সর্বশেষ সংবাদ