বিশ্বের অসীম ত্যাগী নারীদের একজন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা: ঢাবি উপাচার্য

  © টিডিসি ফটো

বিশ্বে যে ক’জন মহিয়সী নারী জীবনে অসীম ত্যাগ, দৃঢ় মনোবল এবং অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তাঁদের মধ্যে অন্যতম বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শনিবার (৮ আগস্ট) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বাণী প্রদান করেন। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকিয়া পারভীনসহ হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাণীতে উপাচার্য বলেন, ১৯৭৫ থেকে আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য শোকাবহ মাস বটে কিন্তু ১৯৩০ সালের ৮ আগস্টে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন রেনু নামের একটি মেয়ে যিনি হলেন মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। একজন সাবলীল, স্নেহময়ী ও পরিশ্রমী বাঙালি নারীর যেসব গুণাবলি থাকে, তার সবই ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মধ্যে ছিল। অধিকন্তু এক সুপ্ত প্রতিভা ও জীবন দর্শন তাঁর মধ্যে লুকায়িত ছিল, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র ও যুব রাজনৈতিক জীবনে এবং তা অধিকতর দৃশ্যমান রূপ পায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের কঠিনতম সময়ে বিশেষ করে ষাটের দশক ও সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বে যে ক’জন মহিয়সী নারী জীবনে অসীম ত্যাগ, দৃঢ় মনোবল এবং অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠা এবং বাংলাদেশ নামের জাতি রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একান্ত ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে তিনি অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর এই অসীম অবদান সমাজ, সভ্যতা ও নারী অগ্রগতির স্বার্থে গভীরভাবে মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি।

এ নিরিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। মুজিব জন্মশতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ পূর্তিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে উপজীব্য করে অধ্যয়ন ক্ষেত্র তৈরি জাতীয় জীবনে একটি মাইল ফলক হিসেবে গণ্য হবে বলে ভিসি অভিমত ব্যক্ত করেন।


সর্বশেষ সংবাদ