পদ্ধতিগত প্রশ্ন তুলে ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে: ঢাবি উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ AM , আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ AM
পদ্ধতিগত নানারকম প্রশ্ন তুলে ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে যে অভিযোগ পেয়েছি, প্রত্যেকটির জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। ৪৮টি অভিযোগের কমনগুলো জবাব দিয়েছি। ১৬টি অভিযোগ ৬৯ ধারায় ব্যক্তি পর্যায়ে অফিসিয়াল চিঠির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছি। এরপরও আমরা লক্ষ্য করেছি, নির্বাচনকে পদ্ধতিগত নানারকম প্রশ্ন তুলে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা চলছে। বিশেষ করে সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহ পরে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চলছে।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, প্রস্তুতি পর্ব সবাই দেখেছেন। সাত শতাধিক সাংবাদিক পুরো প্রক্রিয়াতে ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষার্থীরাও গভীর আগ্রহের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যদি দেখতেন, তাদের মতের প্রতিফলন হয়নি, নিশ্চয়ই তারা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে। তাদের কাছ থেকে অভিনন্দন পেয়েছি। তারা মতের প্রতিফলন পেয়েছেন। দলমতের পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছাড়া তারা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোসহ নানা অভিযোগের জবাব দিলেন ঢাবি উপাচার্য
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন দুটি অভিযোগ উঠেছিল, বিশেষ করে একুশে হলে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। টিএসসিতে একজন ভোটার আগে ব্যালটে মার্ক ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরীক্ষা করে দেখেছি, ভোটার নিজেই একাধিকরা প্রবেশ করেন। অভিযোগ তার দিকেই গেছে। এরপরও প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা খড়-কুটো ধরে ডুবন্ত মানুষ বেঁচে থাকার মতোই মরিয়া।
এটি তাদের কাছে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘এর উদাহরণ হলো, আমার যে ছেলে বা মেয়েটি লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে জীবনে প্রথম ডাকসুর ভোটে অংশ নিল, তার যে মত এবং ম্যান্ডেট, এ ধরনের অভিযোগ তার সম্মান রক্ষা করে না। যে পেশাজীবী মহল, যে সাংবাদিক ডাকসু কাভার করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন, এ ধরনের অভিযোগ এই পেশাজীবী মানুষগুলোর অক্লান্ত পরিশ্রমের অবমূল্যায়ন।’